রিয়ার সই ‘জাল’ করে নারী ক্রিকেটে অনিয়মের অভিযোগ, চিঠি তাহলে দিল কে

বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ নারী দলের ক্রিকেটার রিয়া আক্তাররিয়ার ফেসবুক

নারী ক্রিকেটে অনিয়মের অভিযোগ তোলা একটি চিঠি পেয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি), সেই চিঠির ভিত্তিতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দলের নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় অনিয়ম নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিল সংস্থাটি। জবাবে বিসিবি এই বলে ব্যাখ্যাও দিয়েছে যে তারা সবকিছু যাচাই–বাছাই করে কোনো অনিয়ম খুঁজে পায়নি।

কিন্তু যিনি চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছিলেন বলে বিসিবিকে জানিয়েছিল এনএসসি, সেই ক্রিকেটার রিয়া আক্তারই আজ বলেছেন, এনএসসির কাছে এমন কোনো চিঠি তিনি পাঠাননি। তাঁর সই নকল করে অন্য কেউ চিঠি দিয়েছেন। আজ এ নিয়ে এক ফেসবুক পোস্ট দেওয়ার পর প্রথম আলোকে রিয়া মুঠোফোনে বলেন, ‘এ রকম কোনো চিঠি আমি দিইনি। চিঠিতে যে স্বাক্ষর, সেটিও আমার নয়। আমার স্বাক্ষর নকল করে কেউ আমার নামে চিঠিটা দিয়েছে।’

আরও পড়ুন

চিঠিটা তাহলে কে দিতে পারে, এমন প্রশ্নে রিয়া বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। এটা তো আমারও প্রশ্ন।’
ফেসবুক পোস্টের ব্যাপারে জানতে চাইলে রিয়া বলেন, ‘এটা আমার অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া, বিষয়টা পরিষ্কার করার জন্য আমি নিজেই পোস্টটা করেছি। ওই চিঠি আমার নয়।’ স্ট্যাটাসে রিয়া লিখেছেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে আমাকে অনেকেই এই চিঠির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছেন, তাদেরকে পূর্বেও বলেছি, এই চিঠি আমি প্রদান করিনি, আজকে সবার উদ্দেশে আমি এই বিষয়টা পরিষ্কার করে বলতে চাই যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে আমি এমন কোনো চিঠি প্রদান করিনি। এখানে ব্যবহৃত আমার স্বাক্ষরটাও নকল করা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক কাজে ব্যবহৃত আমার যে স্বাক্ষর আছে, সেটা সংযুক্ত করে দিয়েছি।’ ফেসবুক পোস্টে আলোচিত সেই চিঠির সঙ্গে নিজের আসল স্বাক্ষরের নমুনাও প্রমাণ হিসেবে যুক্ত করেন রিয়া।

এর আগে গতকাল বিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দলের নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে এনএসসিতে একটি চিঠি দেওয়া হয়, যাতে রিয়া আক্তারের স্বাক্ষর ছিল। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর নির্বাচনপ্রক্রিয়া ও নারী ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে বিসিবির ব্যাখ্যা জানতে চায় এনএসসি। বিসিবির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পর্যালোচনার ভিত্তিতে বিসিবি নিশ্চিত করছে যে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দলের নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়নি।’

আরও পড়ুন