ইন্দোরের উইকেট টেস্ট ক্রিকেটের নামে ‘তামাশা’

ইন্দোরে পুরো আধিপত্য বোলারদেরছবি: এএফপি

ইন্দোরে কাল উইকেট–বৃষ্টি হয়েছে। প্রথম দিনেই পড়েছে ১৪ উইকেট। উইকেট পতনের হার আজও তেমনই। হলকার স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। এ ধরনের উইকেটে টেস্ট ম্যাচ আয়োজন কতটা যুক্তিযুক্ত, সেটা নিয়েও চলছে বিতর্ক। ভারতের সাবেক অধিনায়ক দিলীপ ভেংসরকার মনে করেন, ইন্দোরের উইকেট টেস্ট ক্রিকেটের জন্য মস্ত বড় এক তামাশা।

আরও পড়ুন

এবার বোর্ডার–গাভাস্কার টেস্ট সিরিজে উইকেট নিয়ে প্রথম থেকেই সমালোচনা ছিল। নাগপুর ও দিল্লিতেও বলতে গেলে একই ধরনের স্পিনবান্ধব উইকেটে খেলা হয়েছে। তবে নাগপুর ও দিল্লির সঙ্গে পার্থক্য হচ্ছে, ইন্দোরে উইকেটের ফাঁদে আগে কাটা পড়েছে স্বাগতিক ভারতই। ভারত প্রথম ইনিংসে মাত্র ৩৩.২ ওভারে ১০৯ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর ৪ উইকেটে ১৫৬ রান তুলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে অস্ট্রেলিয়া। আজ দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ১৯৭ রান তুলতেই গুটিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসেও ভারত ৭৯ রান তুলতেই হারিয়েছে ৪ উইকেট। দ্বিতীয় দিনে এখনো পর্যন্ত পড়েছে ১০ উইকেট।

বোলারদের রাজত্ব ইন্দোরে
ছবি: এএফপি

উইকেট নিয়ে সমালোচনামুখর ছিলেন সাবেক অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান ম্যাথু হেইডেনও। ধারাভাষ্যের সময় তিনি ইন্দোরের উইকেটকে ধুয়ে দিয়েছেন। তবে দিলীপ ভেংসরকার মনে করেন টেস্টের উইকেট কখনোই বোলারদের জন্য সুবিধাজনক করে তৈরি করা ঠিক নয়, ‘যদি কেউ একটা চমৎকার টেস্ট ম্যাচ দেখতে চান, তাহলে ইন্দোরের উইকেটে সেটি সম্ভব নয়। ভালো ক্রিকেটের জন্য ভালো উইকেট প্রয়োজন, যেখানে বোলার-ব্যাটসম্যান সমানভাবে ভালো করার সুযোগ পাবে। যদি কোনো টেস্ট ম্যাচে প্রথম থেকেই বল ঘোরা শুরু করে, প্রথম সেশনেই বল ওঠা–নামা করে, তাহলে সেটি টেস্ট ক্রিকেট নয়, তামাশা হয়ে যায়।’

আরও পড়ুন

পিটিআইকে ভেংসরকার বলেছেন, যেখানে টেস্ট ক্রিকেটে দর্শক ফেরানো জরুরি হয়ে পড়েছে, সেখানে ইন্দোর টেস্ট কোনোভাবেই এর ভালো বিজ্ঞাপন নয়, ‘টেস্ট ক্রিকেটে দর্শক ফেরানো জরুরি। ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ায় লোকে এখনো টেস্ট আগ্রহ নিয়ে উপভোগ করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারতে ব্যাপারটা এমন নয়। টেস্ট যদি উপভোগ্য হয়, তবেই শুধু মানুষ গ্যালারিতে ফিরবে।’ বোলাররা আধিপত্য করছে এমন টেস্ট কেউ দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন ভেংসরকার, ‘বোলাররা যে টেস্ট ম্যাচে আধিপত্য করে, সেই টেস্ট ম্যাচ দর্শকেরা পছন্দ করে না কখনোই। যে টেস্টের প্রথম সেশন থেকেই ব্যাটসম্যানরা অসহায়, সেই টেস্ট কে দেখতে আগ্রহ বোধ করবে?’