নাজমুলের হৃদয়-দর্শন

তাওহিদ হৃদয় ৫৮ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেছেনছবি: টুইটার

সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবাল আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের সঙ্গী গত কিছুদিনে ব্যাটিংয়ে ভরসা হয়ে ওঠা লিটন দাসও। তিন শর বেশি রান তাড়ায় দলের তখন ওভারপ্রতি ৭ রানের বেশি দরকার। এখান থেকে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াল দারুণভাবে। উঁকি-ঝুঁকি মারা নেতিবাচক ভাবনাকে দূরে ঠেলে রান তাড়ার সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করে তুললেন দুই তরুণ—নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়।

একজন করলেন সেঞ্চুরি, আরেকজন ফিফটি। চতুর্থ উইকেটে দুজনের ১০২ বলে ১৩১ রানের জুটিতেই বাংলাদেশ পেয়ে গেল জয়ের ভিত্তি। শেষ পর্যন্ত যা পূর্ণতা পায় তিন বল বাকি থাকতে তিন উইকেটের জয়ে

৯৩ বলে ১১৭ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার স্বীকৃতিটা উঠেছে নাজমুলের হাতে। তবে বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে সহযোগী হওয়ার কৃতিত্ব দিলেন হৃদয়কেও।

মাত্র পঞ্চম ওয়ানডে খেলতে নামা তাওহিদ ৫৮ বলে খেলেছেন ৬৭ রানের ইনিংস। যে ইনিংসে রান সংখ্যার চেয়েও তাঁর ইতিবাচক ব্যাটিং দলকে রান তাড়ার শক্তি জুগিয়েছে বেশি। কবজির ব্যবহারে মার্ক অ্যাডাইর ও গ্রাহাম হিউমকে যেভাবে মিডউইকেট দিয়ে উড়িয়ে মেরেছেন, দলকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলার পাশাপাশি প্রতিপক্ষকে ফেলেছে ভাবনায়।

ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে যা ফুটে উঠল নাজমুলের কথায়ও, ‘ও যেভাবে ইন্টেন্ট নিয়ে ব্যাটিং করে, সেটা দলের জন্য ভালো। প্রতিপক্ষকেও চাপে ফেলা যায়। ম্যাচের পরিস্থিতি যেমনই হোক, উইকেট তিনটা পড়ুক বা চারটা পড়ুক, ও ওর প্রক্রিয়ার বাইরে যায় না। আমার মনে হয় ওর এভাবেই খেলা উচিত।’

আরও পড়ুন

২২ বছর বয়সী তাওহিদের সঙ্গে এটিই নাজমুলের প্রথম বড় জুটি নয়। এ বছরের বিপিএলে দুজন একসঙ্গে খেলেছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সে। দুজনই ছিলেন ছন্দে। দ্বিতীয় উইকেটে জুটিও হয়েছে বেশ কয়েকটি। এর মধ্যে সেঞ্চুরি জুটি ১টি, ফিফটি জুটি ৩টি এবং ৪৩ রানের জুটি ছিল ২টি।

ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টির সেই জুটির চেনা-জানা জাতীয় দলে দারুণ কাজে লেগেছে বলে মত নাজমুলের, ‘ওর সঙ্গে জুটিটি উপভোগ করছি। বিপিএলে বেশ কয়েকটা বড় জুটি ছিল আমাদের। আমরা দুজনই বুঝি ব্যাটিংটা কীভাবে করতে চাই, ইনিংস বা জুটিটা কীভাবে বড় করতে চাই।’

শান্ত-হৃদয়ের দুজনের একে অপরকে বোঝার এই সুবিধাটাই কাল চেমসফোর্ডে পেয়েছে বাংলাদেশ, ৩১৯ রান তাড়ায় ১০১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর।

আরও পড়ুন