র্যাঙ্কিংয়ে কিউই ইতিহাস, ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর ব্যাটসম্যান ড্যারিল মিচেল
নতুন এক নম্বর ব্যাটসম্যান পেল ওয়ানডে ক্রিকেট। নিউজিল্যান্ডের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ড্যারিল মিচেল এখন ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বসেরা।
দারুণ ছন্দে থাকা এই ব্যাটসম্যান ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে করেছেন সেঞ্চুরি। এই সেঞ্চুরিতে রোহিত শর্মাকে টপকে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠেছেন মিচেল।
১৯৮৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিসির র্যাঙ্কিং চালু হওয়ার পর নিউজিল্যান্ডের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে এক নম্বর হলেন মিচেল। তবে ভূতাপেক্ষা ঐতিহাসিক র্যাঙ্কিং বিবেচনায় শীর্ষে ওঠা দ্বিতীয় কিউই ব্যাটসম্যান মিচেল। তাঁর আগে ১৯৭৯ সালে কিউই কিংবদন্তি গ্লেন টার্নার শীর্ষস্থানে উঠেছিলেন।
অনেক দিন ধরেই দারুণ ছন্দে আছেন মিচেল। এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও দুটি অপরাজিত ফিফটি করেন মিচেল। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের ফলেই শীর্ষস্থানে উঠেছেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের তারকাদের মধ্যে মার্টিন ক্রো, অ্যান্ড্রু জোন্স, রজার টুজ, নাথান অ্যাস্টল, কেইন উইলিয়ামসন, মার্টিন গাপটিল ও রস টেলর—ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নিয়েছিলেন।
এদিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জেতার পর র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে পাকিস্তানের একাধিক খেলোয়াড়ের। ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের তালিকায় মোহাম্মদ রিজওয়ান (পাঁচ ধাপ এগিয়ে যৌথভাবে ২২তম) ও ফখর জামানের (পাঁচ ধাপ এগিয়ে যৌথভাবে ২৬তম) উন্নতি হয়েছে।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়েও বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের। স্পিনার আবরার আহমেদ (১১ ধাপ এগিয়ে নবম) ও পেসার হারিস রউফ (পাঁচ ধাপ এগিয়ে ২৩তম) ওয়ানডে বোলারদের সর্বশেষ তালিকায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছেন। এই র্যাঙ্কিংয়ে এখনো শীর্ষস্থানে আছেন আফগানিস্তানের স্পিনার রশিদ খান।
কলকাতা টেস্টে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিফটি করা প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা তাঁর ক্যারিয়ারে প্রথমবার ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ পাঁচে ঢুকেছেন। দুই ধাপ এগিয়ে তিনি আছেন পাঁচ নম্বরে।
কলকাতা টেস্টে চোটে পড়লেও শুবমান গিল এগিয়েছেন দুই ধাপ। অন্যদিকে সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন চার ধাপ এগিয়ে যৌথভাবে ৩৪তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন। একই টেস্টে আরেক সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদুল হাসান ১৯ ধাপ এগিয়ে ৭৪তম স্থানে উঠে এসেছেন।