যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট অবকাঠামোয় দুর্বলতা এবং ক্রিকেট প্রশাসনে অনিশ্চয়তার কারণে বদলে যেতে পারে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু—এমন একটি খবর চাউর হয়েছে ক্রিকেট বিশ্বে। আগামী বছরের মাঝামাঝিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে যৌথভাবে নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ভেন্যু বদলে গেলে টুর্নামেন্টটি হবে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে। এর বদলে ২০৩০ সালে যুক্তরাজ্যে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ব দেওয়া হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-যুক্তরাষ্ট্রকে, এমন খবরই দিয়েছিল নিউজ১৮সহ ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।

তবে খবরটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে আইসিসি ও ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। এখন পর্যন্ত উল্লিখিত বিশ্বকাপ দুটি পূর্বসিদ্ধান্ত অনুসারেই আয়োজিত হওয়ার কথা বলে জানিয়েছে সংস্থা দুটি।

ভারতের ক্রিকেটবিষয়ক পোর্টাল ক্রিকবাজকে ইসিবির মুখপাত্র বলেন, ‘২০২৪ বিশ্বকাপ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরে যাওয়ার খবর সত্য নয়। যেহেতু টুর্নামেন্টটির মূল আয়োজক আইসিসি, এ ক্ষেত্রে তাদের বক্তব্য আবশ্যিক ও চূড়ান্ত হিসেবে পরিগণিত হবে।’

আরও পড়ুন

বেসবলের দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ১৫০ বছরের পুরোনো ক্রিকেট ক্লাব

আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করছে ২০০৭ থেকে। এর মধ্যে অংশগ্রহণকারী বিবেচনায় সবচেয়ে বড় আসর হতে যাচ্ছে ২০২৪ বিশ্বকাপ। এতে ২০টি দল মোট ৫৫টি ম্যাচ খেলবে। ক্রিকবাজ লিখেছে, পরিকল্পনা অনুসারেই সামনের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন আইসিসির মুখপাত্র, ‘ওই অঞ্চলে ভেন্যু পরিদর্শনের কাজ শেষ হয়েছে সম্প্রতি। ২০২৪ সালের জুনে টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা পুরোদমে এগোচ্ছে।’

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ কি ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে খেলবে

ভেন্যু বদলের গুঞ্জন নিয়ে কথা বলেন আইসিসির এক সদস্যও। তাঁর মতে, বাস্তবিক কারণেই ইংল্যান্ডে টুর্নামেন্ট সরানোর সুযোগ নেই, ‘বিশ্বকাপ হবে জুনে। বলা হচ্ছে সম্ভাব্য ভেন্যু ইংল্যান্ড। কেউ যদি ইসিবিকে জিজ্ঞেস করত তারা ২০২৪ আসর আয়োজন করতে পারবে কি না, উত্তরটা খুব পরিষ্কার—তারা পারবে না। সুতরাং ভেন্যু বদলানোর কোনো সম্ভাবনাই তৈরি হয়নি। ইংল্যান্ডের আগামী বছরের সূচির দিকেই তাকিয়ে দেখুন না, যে কেউই ব্যাপারটা বুঝতে পারবে।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা, ডালাস এবং অন্য একটি বিবেচনায় নিচ্ছে আইসিসি, যেখানে ইউএসএক্রিকেটের (ইউএসএসি) প্রশাসনিক সংশ্লিষ্টতা ন্যূনতম রাখার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। আইসিসির পূর্ণ সদস্যদেশ না হয়েও প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ব পাওয়া দেশ যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন

গলফে সৌদি আরব–যুক্তরাষ্ট্র সমঝোতা, থামল ‘গৃহযুদ্ধ’