‘সি ও ডি’ দলের বিপক্ষে জিতেই শীর্ষে উঠেছিল পাকিস্তান

পাকিস্তান ক্রিকেট দলফাইল ছবি

ওয়ানডেতে পাকিস্তান কতটা শক্তিশালী? আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ের দিকে তাকালে উত্তর মিলবে। পাকিস্তান দলকে সমীহ করতেই হবে। আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বরে আছে দলটি। চলতি বছর পাকিস্তান শীর্ষে উঠেছিল দুবার। মে মাসে প্রথমবার নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে শীর্ষে ওঠে পাকিস্তান। অর্থাৎ র‌্যাঙ্কিং বলছে, দুর্দান্ত ছন্দে আছে পাকিস্তান। তবে বাস্তবতা ভিন্ন। ওয়ানডেতে পাকিস্তান এ মুহূর্তে কিছুটা নড়বড়ে। অনেকে বাবর আজমদের সেমিফাইনালেও দেখছেন না।

কেন? পাকিস্তানের স্থানীয় এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে দেশটির সাবেক অধিনায়ক ও টেকনিক্যাল ডিরেক্টর মিসবাহ–উল–হক এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। মিসবাহ র‌্যাঙ্কিংকে পাত্তাই দিচ্ছেন না। তিনি পাকিস্তান দলকে অনুরোধ করেছেন, র‌্যাঙ্কিং নিয়ে না ভেবে আসল বিষয় মাথায় রাখতে, ‘নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া পাকিস্তানে এসেছে। ওরা শীর্ষস্থানীয় দল ছিল, তবে ওদের “সি” ও “ডি” পর্যায়ের দল পাকিস্তানে এসেছিল। ওদের বিপক্ষে জেতার পর আমাদের রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অন্য দলও এসেছে, আমরা ওদের বিপক্ষেও জিতেছি। আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর হয়েই আমরা খুশি ছিলাম। কিন্তু আমাদের বাস্তবতাও মাথায় রাখা উচিত।’

আরও পড়ুন
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক কোচ মিসবাহ–উল হক
ফাইল ছবি

২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম চার ম্যাচে জিতেই আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রথমবার শীর্ষে ওঠা পাকিস্তানের। সেটাকে গুরুত্ব না দিয়ে মিসবাহ বলছেন, অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড মূল দল নিয়ে পাকিস্তানে আসেনি। এ দলগুলোর বিপক্ষে জিতেই রেটিং পয়েন্ট বাড়িয়েছে বাবর আজমের দল, ‘অস্ট্রেলিয়ার “সি” দল আমাদের বিপক্ষে ম্যাচও জিতেছে। নিউজিল্যান্ড যখন আসে, ওদের মূল ক্রিকেটাররা তখন আইপিএলে গিয়েছিল। বাস্তবতা দেখতে হব, আমরা কোথায় আছি। আমরা প্রথম সারির দল খেলেছি, ওরা খেলেছে তৃতীয় সারির দল নিয়ে। এরপরও ওরা আমাদের বিপক্ষে লড়াই করেছে। র‌্যাঙ্কিং আসলে কোনো বিষয় নয়।’

আরও পড়ুন

এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরামও, ‘র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ছয় মাস যদি আমরা থাকতে পারি, তাহলে শুধু আমাদের উদ্‌যাপন করা উচিত।’