নাহিদ রানা যাওয়ার আগেই কি ভেসে যাবে পেশোয়ারের প্লে–অফ স্বপ্ন

নাহিদ রানাআইসিসি

নাহিদ রানার গল্পটাও একই রকম হতে পারত। থাকতে পারতেন রিশাদ হোসেনের মতো আলোচনার কেন্দ্রে। জেতাতে পারতেন দলকে। তবে এসব কিছুই হয়নি। জিম্বাবুয়ে সিরিজের কারণে নাহিদ এখনো পেশোয়ার জালমিতে যোগ দেননি। তাঁর দল হেরেছে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে। সেটাও খুব বাজেভাবে। নাহিদ পেশোয়ারে যোগ দেওয়ার আগেই পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা দলটি টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ে কি না, এই শঙ্কাও আছে।

পিএসএল শুরু হয়েছে মাত্রই বলতে হবে। তবে নিজেদের খেলা প্রথম দুই ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়েছে নাহিদ রানার দল। বোলাররা রান বিলাচ্ছেন দেদার। আর ব্যাটসম্যানদের ব্যাটেও রান নেই।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে কোয়েটার কাছে তারা হেরেছে ৮০ রানে। কোয়েটার ২১৬ রান তাড়া করতে নেমে পেশোয়ার গুটিয়ে যায় ১৩৬ রানে। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে পরের ম্যাচে দলটি হেরে বসে ১০২ রানে। সেই ম্যাচে পেশোয়ারের বোলাররা খরচ করে ২৪৩ রান। দলের প্রাণভোমরা বাবর দুই ম্যাচেও রান পাননি। প্রথম ম্যাচে ০ রানে আউটের পর দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ১।

জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলে নাহিদের পেশোয়ারে যোগ দেওয়ার কথা
ছবি: ফ্র্যাঞ্চাইজির ফেসবুক

আসলে প্রথম দুই ম্যাচে এত বড় হারের ব্যবধানই পেশোয়ার সমর্থকদের মনে শঙ্কা তৈরি করেছে। এই শঙ্কার সূত্রপাত আসলে ড্রাফটের পর থেকেই। কারণ, বাবর, সাইম ও হারিস ছাড়া দলে যে বড় তারকার অভাব।

আরও পড়ুন

ব্যাটিং বিভাগে মোহাম্মদ হারিস ছাড়া আর কেউ ছন্দে নেই। এই টুর্নামেন্ট দিয়ে সাইম আইয়ুবও দীর্ঘদিনের চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরেছেন। বাবরের ব্যাটে রান নেই। বিদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে বড় রান করার মতো ক্রিকেটারও এই দলে কম। টম কোহলার-ক্যাডমোর, ম্যাক্স ব্রায়ান্টরাই ভরসা। তবে বড় ইনিংস আসতে হবে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান বাবর, সাইম ও হারিসের কাছ থেকেই। বিশেষ করে বাবরের কাছ থেকে।

পিএসএলে ছন্দে নেই মোহাম্মদ আলী
শামসুল হক

পেশোয়ারের বোলিং অনেকটাই নির্বিষ। মোহাম্মদ আলী, আলজারি জোসেফকে নিয়ে গড়া পেস আক্রমণ প্রতিপক্ষের জন্য ঠিক হুমকি নয়। মোহাম্মদ আলী তো দুই ম্যাচেই রান দিয়েছেন ৫০ রানের বেশি। জোসেফ একটিতে ৫৩, আরেকটিতে ৩৯। এই বোলিং লাইনআপে এক্স ফ্যাক্টর হতে পারতেন নাহিদ। তবে তিনি যোগ দিতে দিতে আরও ৩ ম্যাচ খেলে ফেলবে পেশোয়ার।

আরও পড়ুন

জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলে নাহিদের পেশোয়ারে যোগ দেওয়ার কথা। ২০ থেকে ২৪ এপ্রিল হবে জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম টেস্ট। সেই হিসাবে ২৭ এপ্রিল কোয়েটার বিপক্ষে ম্যাচ থেকে নাহিদকে পাওয়ার কথা বাবরদের। এর আগে নতুন কোনো শক্তিও দলটিতে যোগ হবে না। মানে টুর্নামেন্টের শেষ পর্যন্ত যেতে হলে এঁদেরই পারফর্ম করতে হবে। সেটা কি তারা করতে পারবে? নাকি একের পর এক হারই সঙ্গী হবে তাদের!

পেশোয়ারের পরের ম্যাচ ১৯ এপ্রিল, মুলতান সুলতানসের বিপক্ষে।