ক্রিকেটাররা কেন দৌড়াবেন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে

মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুশফিকুর রহিমপ্রথম আলো

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে কি কখনো গিয়েছেন নাজমুল হোসেন, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজেরা? গেলেও সেটা নিশ্চিতভাবেই ক্রিকেট খেলতে বা অনুশীলন করতে নয়।

দেশের ক্রিকেটের একসময়ের তীর্থস্থান বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিদায় নিয়েছে ২০০৫ সালের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ওয়ানডে দিয়ে। ২০০৬ সাল থেকে পাকাপাকিভাবে দেশের ক্রিকেটের ঠিকানা মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। কাজেই এই প্রজন্মের ক্রিকেটারদের কাছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ঘাস-মাটি অচেনাই হবে।

তবে কাল সকালে দেড় ঘণ্টার জন্য এই প্রজন্মের ক্রিকেটাররা যাচ্ছেন পল্টন-গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। ক্রিকেট খেলতে বা অনুশীলন করতে নয় অবশ্য। জাতীয় দল ও জাতীয় দলের আশপাশের, আরও নির্দিষ্ট করে বললে বাংলাদেশের সর্বশেষ টেস্ট, টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে দলের গোটা চল্লিশেক ক্রিকেটার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে যাচ্ছেন মূলত দৌড়াতে।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে ক্রিকেটারদের দৌড়কে বলা হচ্ছে ‘ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স অ্যাসেসমেন্ট’
ছবি: প্রথম আলো

সেই দৌড় সাধারণ কোনো দৌড় নয়। রীতিমতো ১৬০০ মিটার দৌড়। তার মানে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে নতুন বসানো ৪০০ মিটারের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে মোট চার চক্কর দৌড়াবেন ক্রিকেটাররা। এরপর ট্র্যাকেই হবে ৪০ মিটার স্প্রিন্টও। কাল সকাল ৬টা থেকে ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত হবে জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে ক্রিকেটারদের ফিটনেস প্রস্তুতির এই প্রথম পর্ব। নতুন ট্র্যাক বসানোর পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে এখানে হয়েছে সর্বশেষ জাতীয় অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা। এরপর কাল ক্রিকেটাররাই প্রথম নামবেন তাতে।

আরও পড়ুন

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে ক্রিকেটারদের দৌড়কে বলা হচ্ছে ‘ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স অ্যাসেসমেন্ট।’ যেকোনো সিরিজের আগে প্রস্তুতির শুরুটা অবশ্য এভাবেই হয়। সেটা এত দিন হয়েছে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। এবার কেন তা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে, সে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফীস মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘একটা কারণ মিরপুরে এখন লিগের খেলা চলছে। তা ছাড়া ঘাসের মাঠ একটু ভারী বলে দৌড়াতে সমস্যা হয়। সে তুলনায় অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক অনেক ফাস্ট ও শক্ত। আমাদের নতুন ট্রেইনার ন্যাথান কিলি চেয়েছেন এ রকম একটা জায়গায় ক্রিকেটারদের স্প্রিন্ট দেখে কার ফিটনেসের কী অবস্থা বুঝতে। তাতে খেলোয়াড়েরাও নিজেদের ফিটনেসের অবস্থা আরও ভালো বুঝবে, একটু ভিন্ন অভিজ্ঞতাও পাবে।’

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ১৬০০ মিটার দৌড় ও ৪০ মিটার স্প্রিন্ট পর্ব শেষ করে ক্রিকেটাররা ফিরে যাবেন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। প্রস্তুতি পর্বের বাকিটা হবে সেখানেই।

আরও পড়ুন