ভারতের পিটুনিতে সেই ইংল্যান্ডও এখন ড্রর কথা ভাবছে

একের পর এক সেঞ্চুরি করছেন গিলএএফপি

বেন স্টোকসের ইংল্যান্ড ড্রর জন্য খেলে না। তাঁর অধীনে ৩৭ টেস্টে একবার ড্র করাই এর প্রমাণ। আর সেই ম্যাচটি ড্র হয়েছিল বৃষ্টির কারণে। মানে লক্ষ্য যেটাই হোক না কেন, ইংল্যান্ড জেতারই চেষ্টা করে। তবে ভারতের বিপক্ষে এজবাস্টন টেস্টে স্টোকসের ইংল্যান্ড কি সেই ধারা ভাঙতে যাচ্ছে? ইংল্যান্ডের সহকারী কোচ মার্কাস ট্রেসকোথিকের কথাতে এর ইঙ্গিতই মিলছে।

এজবাস্টন টেস্ট জয়ের জন্য ভারত ইংল্যান্ডকে ৬০৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে। এর আগে চতুর্থ ইনিংসে ৫০০ রানও তাড়া করে কোনো দল টেস্ট জিততে পারেনি।

কাল রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড ৩ উইকেটে ৭৭ রান তুলেছে। জয়ের জন্য শেষ দিনে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ৫৩৬ রান, হাতে আছে ৭ উইকেট। গত কয়েক বছরে ইংল্যান্ড অনেক অবিশ্বাস্য কীর্তিই গড়েছে, তবে ৯০ ওভারে ৭ উইকেটে ৫৩৬ রান করা এটা অসম্ভবই।

এজবাস্টন টেস্ট জিততে ৭ উইকেট প্রয়োজন ভারতের
এএফপি

সেটা হয়তো বুঝতে পেরেছেন ট্রেসকোথিকও। সে কারণেই দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা সবাই বুঝতে পারছি, এটা অনেক বড় লক্ষ্য। আগামীকাল আমাদের দরকার ৫৫০ (আসলে ৫৩৬) রান। একটা দিনে এত দ্রুত রান তোলার নজির নেই। অবশ্যই কাজটা কঠিন হবে। যখন পরিস্থিতি বদলায়, তখন ড্রও ভালো ফল হতে পারে। আমরা এতটা বোকা নই যে ভাবব, শুধু জয় কিংবা হার—এই দুটিই শেষ কথা। প্রতিটি ম্যাচে তিনটি ফলই সম্ভব। তবে আমরা অনেক সময় এমন কিছু করেছি, যেটা আগে করিনি।’

আরও পড়ুন

ইংল্যান্ডকে এভাবে চাপে ফেলার মূল কৃতিত্ব অধিনায়ক শুবমান গিলের। এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরির (২৬৯) পর কাল দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন সেঞ্চুরি।

১৬২ বলে ১৬১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলা গিল তো এক টেস্টে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটাকেও হুমকির মুখে ফেলেছিলেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪৩০ রান করেছেন গিল। এক টেস্টে এর চেয়ে বেশি রান আছে শুধু একজনেরই। ১৯৯০ সালে লর্ডসে ভারতের বিপক্ষে দুই ইনিংসে ৪৫৬ রান করেছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক গ্রাহাম গুচ (৩৩৩ ও ১২৩)। দ্বিতীয় ইনিংসে ফিফটি পেয়েছেন লোকেশ রাহুল, ঋষভ পন্ত ও রবীন্দ্র জাদেজা।

আরও পড়ুন