এশিয়া কাপে ভারতের স্কোয়াড: কে থাকতে পারেন, বাদ পড়বেন কারা
সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হবে এশিয়া কাপ। টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এ টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২৮ সেপ্টেম্বর। ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এ টুর্নামেন্টে খেলতে পারেন দেশটির তারকা পেসার যশপ্রীত বুমরা। সে জন্য আগামী ২ অক্টোবর থেকে আহমেদাবাদে শুরু হতে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বিশ্রাম পেতে পারেন বুমরা।
অজিত আগারকারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি ১৯ ও ২০ আগস্টের মধ্যে এশিয়া কাপে ভারতের স্কোয়াড চূড়ান্ত করতে পারে। তবে সেটা নির্ভর করছে ভারতের সেন্টার অব এক্সিলেন্সের (সিওই) ক্রীড়াবিজ্ঞান দল কবে খেলোয়াড়দের মেডিকেল প্রতিবেদন পাঠাবে, তার ওপর। সূর্যকুমার যাদব এরই মধ্যে চোট থেকে সেরে ওঠে বেঙ্গালুরুতে নেটে ব্যাটিং শুরু করেছেন।
স্কোয়াড নির্বাচন নিয়ে কিছু কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে বিসিসিআইয়ের নির্বাচক কমিটিকে। তবে গত বছর জুলাইয়ে সূর্যকুমার টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হওয়ার পর ভারত এই সংস্করণে যেভাবে সাফল্য পেয়েছে, স্কোয়াড নির্বাচনে নির্বাচকদের সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার সম্ভাবনাই বেশি বলে জানিয়েছে পিটিআই।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে ভারত। সেই সিরিজে সহ-অধিনায়ক ছিলেন অক্ষর প্যাটেল। সূর্যকুমার স্থায়ীভাবে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়ার পর গত বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই সংস্করণের সিরিজে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন গিল।
পিটিআই জানিয়েছে, ভারতের টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং লাইনআপে শীর্ষ পাঁচ নিয়ে (অভিষেক শর্মা, সঞ্জু স্যামসন, সূর্যকুমার যাদব, তিলক বর্মা ও হার্দিক পান্ডিয়া) পরীক্ষা-নিরীক্ষার ইচ্ছা নেই নির্বাচক কমিটির। এ নিয়ে বিসিসিআইয়ের এক সূত্র পিটিআইকে জানায়, ‘সর্বশেষ আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে অভিষেক শর্মা বিশ্বের ১ নম্বর টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান। ব্যাটিংয়ে ও গ্লাভস হাতে গত মৌসুমটা দারুণ কেটেছে স্যামসনের। সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হলেও শুবমান যে (যদিও তা টেস্টে) ফর্মে আছে, তাঁকে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। আইপিএলেও তিনি ভালো করেছেন। নির্বাচকদের জন্য সমস্যা হলো, টপ অর্ডারে ওপরের দিকে পারফরমার অনেক বেশি।’
অর্থাৎ টপ অর্ডারে পরিবর্তন আনা না হলে যশস্বী জয়সোয়াল, শুবমান গিল কিংবা সাই সুদর্শনের জায়গা হবে না ভারতের এশিয়া কাপ স্কোয়াডে। আর এমনটা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। গিল, জয়সোয়াল বা সাই—তাঁরা টপ অর্ডার ছাড়া অন্য কোথাও খেলতেও পারবেন না। তাই ইংল্যান্ড সিরিজে ৭৫৪ রান করা গিল, গত আইপিএলে সর্বোচ্চ ৭৫৯ রান করা সাইকে টিভির পর্দায় এশিয়া কাপ দেখতে হতে পারে। এমনকি ওয়ানডেতে উইকেটকিপার হিসেবে ভারতের প্রথম পছন্দ লোকেশ রাহুলেরও ভারতের এশিয়া কাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কা বেশি। কারণ, রাহুলও টি-টোয়েন্টিতে ওপরের দিকেই ব্যাটিং করেন।
উইকেটকিপার হিসেবে নির্বাচকদের প্রথম পছন্দ স্যামসন। দ্বিতীয় উইকেটকিপার হিসেবে লড়াইটা হবে জিতেশ শর্মা ও ধ্রুব জুরেলের মধ্যে। ভারতের সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে জুরেল ছিলেন দলে। জিতেশ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর আইপিএল জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখেন। ব্যাটিংয়েও ফিনিশার হিসেবে বেশ ভালো করেন আইপিএলে।
পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে হার্দিক পান্ডিয়াই নির্বাচকদের প্রথম পছন্দ। ইংল্যান্ড সিরিজে চোটে পড়া পেস বোলিং অলরাউন্ডার নীতিশ কুমারের স্কোয়াড ঘোষণার আগে ফিট না হয়ে ওঠার শঙ্কাই বেশি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালো করা শিবম দুবেরও এশিয়া কাপের স্কোয়াডে থাকার সম্ভাবনা বেশি। স্কোয়াডে দুজন স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে অক্ষর ও ওয়াশিংটন সুন্দরের জায়গা পাওয়া মোটামুটি নিশ্চিত।
প্রশ্ন হচ্ছে, বুমরা ও অর্শদীপের সঙ্গে তৃতীয় পেসার কে হবেন? পিটিআই জানিয়েছে, এই লড়াইটা হবে প্রসিধ কৃষ্ণা ও হর্ষিত রানার মধ্যে। সর্বশেষ আইপিএলে ২৫ উইকেট নেন কৃষ্ণা। হর্ষিতের দারুণ কিছু ডেলিভারি করার সামর্থ্য আছে।