তাসকিনের ২ উইকেট, সাইফদের হার
৬ বলে দরকার ৮ রান, স্ট্রাইকে সাইফ হাসান। ততক্ষণে ৯ বলে ১৪ রান হয়ে গেছে তাঁর। ম্যাচ জেতানোর ভালো সুযোগ সামনে। কিন্তু শাহনওয়াজ দাহানির প্রথম বলে নিতে পারলেন সিঙ্গেল, তৃতীয় বলে স্ট্রাইকে ফিরে তুলে দিলেন ক্যাচ।
সাইফ পারলেন না, এরপর পারলেন না টাইমাল মিলস আর স্যাম বিলিংসরাও। শেষ ওভারে ৩ রান খরচে ২ উইকেট নিয়ে নায়ক হয়ে গেলেন দাহানি। আবুধাবি টি–টেন লিগে অ্যাসপিন স্ট্যালিয়নসের বিপক্ষে দাহানির দল নর্দার্ন ওয়ারিয়র্স জিতে যায় ৪ রানে।
দাহানি যদি নায়ক হন, তাহলে পার্শ্বনায়ক তাসকিন আহমেদ। শেষের আগের ওভারে স্ট্যালিয়নসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক আভিষ্কা ফার্নান্দোকে ফিরিয়েছেন বাংলাদেশি এ পেসারই। উইকেটও নিয়েছেন দাহানির মতো ২টি।
শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে নর্দার্ন ওয়ারিয়র্স ১০ ওভারে করে ১ উইকেটে ১১৪। জনসন চার্লস ৩৪ বলে ৫৫ এবং কলিন মুনরো ২১ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের সাইফ ১ ওভার অফ স্পিন করে দেন ১৭ রান।
তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে আন্দ্রে ফ্লেচারকে হারায় স্ট্যালিয়নস। সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যটসম্যান বোল্ড হন তাসকিনের বলে। তাসকিনের ওভারটি থেকে মাত্র ৯ রান হলেও প্রথম ৫ ওভার শেষে স্ট্যালিয়নসের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ২ উইকেটে ৬৫ রান। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে স্ট্যালিয়নসের লুইস ডি প্লয় আউট হলে মাঠে নামেন সাইফ।
আভিষ্কা ফার্নান্দোর সঙ্গে তাঁর ১৮ বলের জুটিতে দল পায় ৩০ রান। আভিষ্কা ২০ বলে ৩৩ রান করে তাসকিনের বলে শিমরন হেটমায়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। এই ওভারে তাসকিনের বিপক্ষে ১ বল খেলে ১ রান নেন সাইফ। তাসকিন তাঁর ২ ওভারের স্পেল শেষ করেন ২১ রানে ২ উইকেট নিয়ে।
এর পরের ওভারেই দাহানি সাইফদের ফিরিয়ে ম্যাচ জেতান ওয়ারিয়র্সকে।