সালমানকে দর্শক বানিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ফাইনালে নিলেন চামিরা
শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ১০ রান, আর বোলার দুষ্মন্ত চামিরার দায়িত্ব ছিল অন্তত ৮ রানের মধ্যে আটকে রাখা। পাকিস্তান এর আগের আট ওভারের প্রত্যেকটিতে ১০ বা এর বেশি রান তুলেছে। তার ওপর স্ট্রাইকে সালমান আগা, যিনি এরই মধ্যে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ফিফটি করে ফেলেছেন, সঙ্গে বড় শটের জন্য পরিচিত ফাহিম আশরাফও।
তবে কোনো ‘বাধা’তেই আটকালেন না চামিরা। শ্রীলঙ্কার ডানহাতি পেসার শেষ ওভারের ৬ বলে দিলেন মাত্র ৩ রান, তুলে নিলেন আশরাফের উইকেটও। তাতে জয়ের সম্ভাবনা জাগানো পাকিস্তান ১৮৪ রান তাড়া করতে গিয়ে আটকে থাকল ১৭৮-এ।
৬ রানে ম্যাচ জিতিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে নিয়ে গেলেন চামিরা। পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান একপ্রান্তে দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ৪৪ বলে ৬৩ রানে।
শনিবার রাওয়ালপিন্ডিতে ফাইনালে আবার মুখোমুখি হবে পাকিস্তা ও শ্রীলঙ্কা।
রাওয়ালপিন্ডিতে রান তাড়ায় পাকিস্তানের শুরুটা ভালো ছিল না। পাওয়ার প্লের মধ্যে ৪৫ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। ৫০ রানে পৌঁছাতে লেগে যায় ৮ ওভার।
এই পরিস্থিতি থেকে পাকিস্তানকে জয়ের পথে নিয়ে যান অধিনায়ক সালমান। তাঁকে সঙ্গ দেন উসমান খান ও মোহাম্মদ নেওয়াজ।
উসমান ২৩ বলে ৩৩ আর নেওয়াজ ১৬ বলে ২৭ রান করে ফিরলেও সালমান এক প্রান্ত আগলে রাখেন। প্রথম ১৭ বলে ১৩ রান করা সালমান থিতু হওয়ার পর ব্যাট চালিয়ে ফিফটি স্পর্শ করেন ৩৫ বলে।
তবে শেষ ওভারে প্রথম দুই বল খেলে নন স্ট্রাইকে যাওয়ার পর আর স্ট্রাইকে ফিরতে পারেননি। এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে দেখেন দলের হার।
এর আগে শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে ১৮৪ রানের সংগ্রহ এনে দিতে ভূমিকা রাখেন কামিল মিশারা। বাঁহাতি এ ওপেনার ৪৮ বলের ইনিংসে ৩ ছক্কা ও ৬ চারে করেন ৭৬ রান। তিন নম্বরে নামা কুশল মেন্ডিসের ২৩ বলে ৪০ রানও শ্রীলঙ্কার জন্য বড় অবদান রাখে। যা শেষ পর্যন্ত চামিরার নৈপূণ্যে জয়ও এনে দিয়েছে।
৪ ম্যাচের দুটিতে জিতে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনালে উঠেছে শ্রীলঙ্কা। আগেই টানা তিন ম্যাচ জিতে শিরোপানির্ধারণীতে খেলা নিশ্চিত করেছিল পাকিস্তান। অপর দল শ্রীলঙ্কা চার ম্যাচের মাত্র একটিতে জিতেছিল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভারে ১৮৪/৫ (মিশারা ৭৬, মেন্ডিস ৪০, লিয়ানাগে ২৪*; আবরার ২/২৮, সাইম ১/১৯)।
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৭৮/৭ (সালমান ৬৩*, উসমান ৩৩, নেওয়াজ ২৭; চামিরা ৪/২০, মালিঙ্গা ২/৫৪)।
ফল: শ্রীলঙ্কা ৬ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: দুষ্মন্ত চামিরা।