দুবাই ক্যাপিটালসের জয়ের জন্য শেষ ১৮ বলে দরকার ছিল ২৬ রান। তাসকিন আহমেদ বল হাতে নিয়ে একটি উইকেট তো নিলেনই, ৬ বলে দিলেন মাত্র ৫ রান। দুবাইয়ের সমীকরণ বেড়ে দাঁড়াল ১২ বলে ২১ রানে।
তবে ১৮তম ওভারে এভাবে খেলা জমিয়ে তুললেও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেননি তাসকিন। তাঁর দল শারজা ওয়ারিয়র্সের ৮ উইকেটে করা ১৩৪ রান ৫ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে দুবাই। যে জয়ে আইএল টি–টোয়েন্টির প্লে–অফের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে মোস্তাফিজুর রহমানের দল।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে লিগ পর্বের খেলায় দুবাই ও শারজার জার্সিতে মুখোমুখি হন বাংলাদেশের দুই পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেওয়া দুবাইয়ের হয়ে ৪ ওভার বোলিং করেন মোস্তাফিজ। এর মধ্যে তৃতীয় ওভারে তাঁরই হাতে ক্যাচ দেন সিকান্দার রাজা। কট অ্যান্ড বোল্ড হওয়া জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যান ১১ বলে করেন ৮ রান।
মোস্তাফিজ তাঁর ৪ ওভারে দেন ২৭ রান, যার মধ্যে ১২–ই ইনিংসের ২০তম ওভারে।
১৩৪ রান তাড়ায় দুবাইকে পথ দেখিয়েছেন শায়ান জাহাঙ্গীর ও জর্ডান কক্স। শায়ান ৫১ রান করে আউট হলেও কক্স শেষ পর্যন্ত ৫০ বলে ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন। রান তাড়ায় প্রায় পুরো সময় জয়ের পথে থাকা দুবাই বড় ধাক্কা খায় তাসকিনের করা ইনিংসের ১৮তম ওভারে।
সে ওভারে প্রথম বলে চার হজম করলেও পরের বলে আউট করেন লিউস ডু প্লয়কে। গুরুত্বপূর্ণ ওই সময়ে ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে লড়াইও জমিয়ে তোলেন। তবে টিম সাউদির করা উনিশতম ওভারে ১৮ রান বের হয়ে গেলে শারজার জয়ের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। শেষ ওভারের প্রথম বলে রোভমান পাওয়েলের ব্যাটে তাসকিনের ছক্কা হজমে শেষ হয়ে যায় ম্যাচই। এর আগে দুই দলের প্রথম ম্যাচেও শারজাকে হারিয়েছিল দুবাই।
শারজার এটি নবম ম্যাচে ষষ্ঠ হার, ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় অবস্থান ৬ নম্বরে। আর ৯ ম্যাচে পঞ্চম জয় তুলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে দুবাই ক্যাপিটালস।