১ ওভারে ৩ উইকেট, মোস্তাফিজ–সৌম্যর বিপরীত অভিজ্ঞতা ও এক দিনে দুই ম্যাচ

২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছে মোস্তাফিজুর রহমান ও সৌম্য সরকারের।এএফপি
২০০৭ থেকে ২০২৫, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এ পর্যন্ত ২২ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। এর একটি ছিল আবার এশিয়ান গেমসে। আজ আবার দুই দল টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হওয়ার আগে ঘুরে আসা যাক ১৮ বছরের সেই ইতিহাসে—

প্রথম দেখা কেনিয়াতে

২০ ওভারে ক্রিকেটে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের প্রথম দেখা ২০০৭ সালে কেনিয়ায় চার জাতি সিরিজে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, কেনিয়া ছাড়াও সেই টুর্নামেন্টে ছিল উগান্ডা। উগান্ডার ম্যাচগুলোর অবশ্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই। টুর্নামেন্টের চতুর্থ ম্যাচে নাইরোবির জিমখানা গ্রাউন্ডে পাকিস্তান করেছিল ৭ উইকেটে ১৯১। রান তাড়ায় বাংলাদেশও ৭ উইকেট হারিয়ে করতে পারে ১৬১ রান। বাংলাদেশের ওপেনার নাজিমউদ্দিন ৫ ছক্কায় ৫০ বলে করেছিলেন ৮১ রান।

১ ওভারে মনসুর আমজাদের ৩ উইকেট, তবু…

পাকিস্তানের লেগ স্পিনার মনসুর আমজাদ
এএফপি

২০০৮ সালে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ছিল সেটি। টসে জিতে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ২০৩ রান তোলে পাকিস্তান। রান তাড়ায় ১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর যখন ৯৮/৭, তখন প্রথম বল হাতে নেন অভিষিক্ত লেগ স্পিনার মনসুর আমজাদ। ওভারের দ্বিতীয়, পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে মাহমুদউল্লাহ, মাশরাফি ও শাহাদাতকে আউট করে বাংলাদেশকে ১০১ রানে অলআউট করে দেন। ১ ওভারে ৩ রানে ৩ উইকেট, তবু সেই ম্যাচটাই হয়ে আছে আমজাদের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম ও শেষ টি-টোয়েন্টি।

প্রথম জয় মোস্তাফিজ-সৌম্যর অভিষেকে

টানা সাত ম্যাচ হারার পর ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফরের একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে জেতে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান (৪ ওভারে ০/১৭) ও স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ম্যাচ খেলা মোস্তাফিজুর রহমানের ( ৪ ওভারে ২/২০) দারুণ বোলিংয়ে পাকিস্তানকে ১৪১ রানে আটকে রাখে বাংলাদেশ। সাব্বির রহমানের ৩২ বলে খেলা অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংস বাংলাদেশকে জিতিয়ে দেয় ৭ উইকেট ও ২২ বল হাতে রেখেই। সেই ম্যাচে আরেক অভিষিক্ত সৌম্য সরকার ইনিংস ওপেন করতে নেমে কোনো বল খেলার আগেই রানআউট হয়ে যান।

আরও পড়ুন

৪৮ বলে ৪৮, তবু ম্যাচসেরা সৌম্য

টি–টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় জয়ে সেরা খেলোয়াড় সৌম্য সরকার
শামসুল হক

১১ মাস পর আবার টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। মিরপুরেই এশিয়া কাপের সেই ম্যাচেও জয়ী দলের নাম বাংলাদেশ। আর সেই ম্যাচের ম্যাচসেরা অভিষেকে কোনো বল না খেলেই আউট হয়ে যাওয়া সৌম্য। এবারও মিরপুরের উইকেটে পাকিস্তানকে (১২৯/৭) অল্পতেই আটকে রাখেন বাংলাদেশের বোলাররা। ৫ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জিতে যায় বাংলাদেশ, উঠে যায় ফাইনালে। মিরপুরের অ-টি-টোয়েন্টিসূলভ উইকেটে ৪৮ বলে ৪৮ রান করেই ম্যাচসেরা হয়ে যান বাংলাদেশের ওপেনার সৌম্য।

আরও পড়ুন

এক দিনে দুই ম্যাচ, দুটিতেই জয় বাংলাদেশের

এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জজয়ী বাংলাদেশ দল
বিসিবি

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর বাংলাদেশ ক্রিকেট দল দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে। একটি চীনের হাংঝুতে এশিয়ান গেমসে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি, আরেকটি ভারতের ধর্মশালায় ওয়ানডে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। দুটি ম্যাচই জেতে বাংলাদেশ। হাংঝুর ম্যাচটি ছিল ব্রোঞ্জপদকের লড়াই। পাকিস্তান ৫ ওভারে ১ উইকেটে ৪৮ রান তোলার পর বৃষ্টি নামে। ম্যাচ আবার শুরু হলে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫ ওভারে ৬৫। শেষ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ২০ রান। দুই ছক্কা ও দুই ডাবলসে প্রথম ৪ বলে ১৬ রান তোলার পর ইয়াসির আলী ফিরে যান পঞ্চম বলে। বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল শেষ বলে চার মেরে দলকে ব্রোঞ্জ এনে দেন