এক ম্যাচে ১০ জন রিটায়ার্ড আউট, ১৫ জন ফিরলেন শূন্য রানে—ঘটনাটা আন্তর্জাতিক ম্যাচের

ব্যাট হাতে অপেক্ষায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাঁচ ব্যাটার। মাঠে নেমেই অবশ্য ‘আউট’ হয়ে ফিরেছেন তাঁরাআইসিসি

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে চলছে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের এশিয়া অঞ্চলের খেলা। সেখানেই আজ অদ্ভুত ঘটনার জন্ম দিল সংযুক্ত আরব আমিরাত নারী দল। কাতারের বিপক্ষে প্রথম ব্যাটিং নিয়ে ১৬ ওভারেই বিনা উইকেটে ১৯২ রান তুলে ফেলে দলটি। ‘যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়’—এই মনে করেই কিনা এরপর দলটির দুই ওপেনার অধিনায়ক এশা ওজা ও তীর্থা সতীশ রিটায়ার্ড আউট (ইচ্ছে করে ফেরত যাওয়া) হয়ে ফেরেন ড্রেসিংরুমে।

এরপর দলটি যা করল, সেটিই ম্যাচটিকে ইতিহাস বানিয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে তো আর ইনিংস ঘোষণা করার নিয়ম নেই, তাই দলটি জানিয়ে দেয় তাদের পরের ৮ ব্যাটসম্যানও রিটায়ার্ড আউট। এক ইনিংসে ১১ জন আউট হওয়ার নিয়ম নেই, তাই দলটির ১১ নম্বর ব্যাটারের নামের পাশে অপরাজিত শূন্য লেখা স্কোর কার্ডে।

এই ম্যাচের আগে নারী-পুরুষ মিলিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক ইনিংসে কোনো দল দুজনের বেশি ব্যাটার বা ব্যাটসম্যানকে রিটায়ার্ড আউট করায়নি। মেয়েদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর আগে এমন আউট ছিল ১২টি। আজ একঝটকায় সেটি প্রায় দ্বিগুণ (২২) হয়ে গেল।

মেয়েদের আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে রেকর্ড চতুর্থ সেঞ্চুরি করেছেন আমিরাত অধিনায়ক এশা ওজা
আইসিসি

রিটায়ার্ড আউট হওয়ার আগে আমিরাত অধিনায়ক এশা ৫৫ বলে ১১৩ রান করেন। ইনিংসে ১৪টি চারও ৫টি ছক্কা মারা এশার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি চতুর্থ সেঞ্চুরি। তাতে মেয়েদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে ফেললেন ২৭ বছর বয়সী ওপেনার। শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু ও তানজানিয়ার ফাতুমা কিবাসুকে পেছনে ফেললেন এশা। ১৯২ রানের জুটিতে এশার সঙ্গী তীর্থা ৪২ বলের ৭৪ রান করেছেন। তিনি মেরেছেন ১১টি চার।

১৫
আমিরাতের ৮, কাতারের ৭—মোট ১৫ জন শূন্য রানে আউট, রেকর্ড এটাও। মেয়েদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর আগে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৯টি ‘ডাক’ দেখেছে।

এশারা কেন সবাই রিটায়ার্ড আউট হয়েছেন, সেটির যথার্থতা প্রমাণ করতে বেশি সময় নেননি কাতারের ব্যাটাররা। ১১.১ ওভারেই ২৯ রানে অলআউট হয়ে ১৬৩ রানে হেরেছে দলটি। ২৯ রানের ২০-ই করেছেন দলটির ওপেনার উইকেটকিপার ব্যাটার রিজফা বানো ইমানুয়েল। ৫ রান করেছেন অ্যাঞ্জেলাইন মেয়ার, ২ রান শাহরিন বাহাদুর। লেগবাই ও ওয়াইড থেকে এসেছে ২ রান। শূন্য রানে আউট হয়েছেন দলটির সাত ব্যাটার।

আমিরাতের ৮, কাতারের ৭—মোট ১৫ জন শূন্য রানে আউট, রেকর্ড এটাও। মেয়েদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর আগে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৯টি ‘ডাক’ দেখেছে। ছেলেদের ক্রিকেটে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ১১টি শূন্য দেখেছে। ১১ শূন্যের সব ঘটনাই টেস্টের। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে রেকর্ডটা ৯।

আরও পড়ুন