ছক্কা মারার জন্যই নাসিমকে ব্যাট ‘ধার’ দিয়েছিলেন হাসনাইন

অবিস্মরণীয় জয়ের পর নাসিমকে ঘিরে সতীর্থরা, একপাশে হাসনাইনছবি: টুইটার

নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আসিফ আলি যখন আউট হন, ম্যাচ জিততে পাকিস্তানের ৭ বলে দরকার ১২ রান। উইকেটে ১০ ও ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নামা নাসিম শাহ আর মোহাম্মদ হাসনাইন। স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের সবাই যখন ব্যর্থ হয়ে প্যাভিলিয়নে, দলের অসমাপ্ত কাজটি অসাধারণ দক্ষতায় সমাপ্ত করেন এ দুই বোলার। শেষ উইকেট জুটিতে পাকিস্তান পেয়ে যায় ১৩ রান, আফগানিস্তানকে হারায় ১ উইকেটে।

আরও পড়ুন

দলকে জেতানোর পাশাপাশি একটি রেকর্ডও করে ফেলেছেন নাসিম–হাসনাইন। টি-টোয়েন্টিতে সফল রান তাড়ায় ১০ম আর ১১তম ব্যাটসম্যানের সমন্বয়ে গড়া শেষ উইকেট জুটিতে এ দুজনের ১৩ রানই সর্বোচ্চ।

এ জুটির কৃতিত্ব নাসিমকেই দিতে হবে। সব কটি রানই যে ১৯ বছর বয়সী এই তরুণের। উল্টো দিকে হাসনাইন রান করবেন কী, স্ট্রাইকেই তো যেতে পারেননি!

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অফিশিয়াল টুইটারে পোস্ট করা ভিডিওতে নিজের অভিজ্ঞতা আর অনুভূতির কথা বলেছেন নাসিম। সঙ্গে ছিলেন হাসনাইনও।

বয়সে নাসিমের চেয়ে তিন বছরের বড় এই পেসার বলেন, ‘ও যখন ব্যাট চাইল, আমি বললাম—নাও। তবে সিঙ্গেল নিলে ব্যাটটা আমাকে ফেরত দিও।’ হাসনাইনের ব্যাট ফেরত চাওয়ার কথায় পরিষ্কার, নাসিমকে ছক্কা মারার জন্য ব্যাট ধার দিয়েছিলেন এবং ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেলে বড় শট খেলার ইচ্ছা ছিল হাসনাইনেরও।

নাসিম–বীরত্বের আগে ২৬ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে দিয়ে যান শাদাব খান। দিন শেষে ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে পাকিস্তানের সহ–অধিনায়কের হাতে।

ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে শাদাব বলছিলেন তাঁর দলের সব বোলারই কমবেশি ব্যাটিং পারেন, ‘নাসিমের ছয় আমাকে মিয়াঁদাদ আর আফ্রিদির শেষ ওভারের ছয়ের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। আমাদের সব বোলারই কিন্তু নেটে অনেক ব্যাটিং অনুশীলন করেন। কোন বোলার যে কোন দিন ম্যাচ জিতিয়ে দেন, কে বলতে পারেন! তবে আমাদের সব বোলারই ব্যাট হাতে ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য রাখেন।’

আরও পড়ুন

ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা যে আছে, কাল রাতে শারজায় সেটি নাসিমই বুঝিয়ে দিয়েছেন।

ক্যারিয়ারে চতুর্থ আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি খেলতে নামা এই পেসার খেলা শেষে জানান, ছয় মারতে পারবেন এমন বিশ্বাস তাঁর ছিল, ‘আমি যে আসলে বোলার, সেটা আজ সবাই ভুলে যাবেন। আমি নন স্ট্রাইকে থাকা হাসনাইনকে বললাম, বিশ্বাস রাখো আমরা পারব। আমি তখন ব্যাটও বদলে নিই। ৯ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বেশির ভাগ মানুষই মনে করেছিলেন আমরা হেরে গেছি। কিন্তু আমার মধ্যে বিশ্বাস ছিল, জেতাতে পারব। কারণ, আমি প্রচুর হিটিং অনুশীলন করি। নিঃসন্দেহে এই ম্যাচ আমার জন্য অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

আরও পড়ুন