গত মাসে মিরপুরে বাংলাদেশ-ভারত মেয়েদের তৃতীয় ওয়ানডেতে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছিলেন ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর। এর জন্য তাঁর শাস্তিও হয়েছে। সেই সময় হারমানপ্রীতের সমালোচনা করেছিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকেই। কিন্তু হারমানপ্রীত ছিলেন মুখে কুলুপ এঁটে।

ঘটনার এক মাস পর সেই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন হারমানপ্রীত। বললেন, তিনি ভুল কিছু করেননি। তাই ওই ঘটনা নিয়ে কোনো অনুতাপ বা অনুশোচনা নেই তাঁর!

হারমানপ্রীত এই মুহূর্তে আছেন ইংল্যান্ডে। মেয়েদের দ্য হান্ড্রেডে ট্রেন্ট রকেটসের হয়ে খেলছেন। সেখানে ম্যাচের ফাঁকে দ্য ক্রিকেট পেপার নামের একটি পত্রিকার সঙ্গে মিরপুরের ঘটনা নিয়ে বলেছেন ভারত অধিনায়ক, ‘আমি এটা বলব না যে (ওই ঘটনা নিয়ে) অনুশোচনায় ভুগছি।’

ওই ঘটনা নিয়ে কেন কোনো অনুশোচনা নেই, সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন হারমানপ্রীত, ‘দিন শেষে একজন খেলোয়াড় হিসেবে দেখতে চাই যে সবকিছু ন্যায্য হচ্ছে। একজন খেলোয়াড় হিসেবে আপনাকে অবশ্যই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে হবে।’

পুরস্কার বিতরণের মঞ্চে অক্রিকেটীয় আচরণ করেছেন ভারত নারী দলের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর (ডানে)
ছবি : শামসুল হক

২২ জুলাই শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে হারমানপ্রীতের অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের শুরুটা হয় আউট হওয়ার পর। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর ভারতীয় অধিনায়ক তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাট দিয়ে স্টাম্প ভেঙে ফেলেন। এরপর আম্পায়ারের উদ্দেশে ক্ষোভ ঝাড়েন। এমনকি মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় দর্শকদের দিকে তাকিয়েও কিছু একটা বলেন। সেখানেই শেষ হয়নি; পরে ম্যাচের পুরস্কার বিতরণীতেও তাঁর শরীরী ভাষায় ছিল তাচ্ছিল্য ভাব।

সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হওয়ায় দুই দলের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়া হয়। ভারত ও বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ট্রফি হাতে ছবি তোলার জন্য দাঁড়ালে হারমানপ্রীত বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানার উদ্দেশে বলেন, ‘শুধু তোমরা কেন, আম্পায়ার তোমাদের ম্যাচ টাই করিয়েছে। আম্পায়ারকেও ডাকো। একসঙ্গে ছবি তুলি।’

আরও পড়ুন

হারমানপ্রীতের কঠোর শাস্তি চাইলেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার

হারমানপ্রীতের এমন আচরণের তীব্র সমালোচনা করেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মদন লাল, ডায়ানা এডুলজি, আনজুম চোপড়ারা। এডুলজি হারমানপ্রীতের আচরণকে ‘আপত্তিকর ও কুৎসিত’ বলে অভিহিত করেন, আর বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড় মদন লাল বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে আলাদাভাবে শাস্তির দাবি জানান।

পরে আইসিসি হারমানপ্রীতকে দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা ও ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ জরিমানা করে।

তবে এত কিছুর পরও নিজের আচরণকে অন্যায় বলতে নারাজ হারমানপ্রীত, ‘আমি মনে করি না, কোনো খেলোয়াড় বা অন্য কাউকে ভুল কিছু বলেছি। মাঠে যা ঘটেছে, আমি তো শুধু সেটাই বলেছি। আমার কোনো অনুশোচনা নেই।’

আরও পড়ুন

হারমানপ্রীতের শাস্তি কম হয়েছে, মনে করেন আফ্রিদি