ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন ‘টো অ্যান্ড টিথ’ বোলার কারেন

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টুর্নামেন্টসেরা ও ফাইনালসেরা হয়েছেন স্যাম কারেনছবি: শামসুল হক

‘টো’ অ্যান্ড টিথ’ বোলার এখন স্যাম কারেন।

একসময় সুইং বোলিং দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভূত এই ইংলিশ বাঁহাতি পেসারই এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়। আজ মেলবোর্নের ফাইনালে তাঁর অসাধারণ বোলিংয়েই পাকিস্তানের সংগ্রহটা লড়াই করার মতো হয়নি। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট—ফাইনালের ম্যান অব দ্য ম্যাচ বেছে নিতে খুব বেশি কষ্ট হয়নি কারোরই।

আরও পড়ুন

সেরা খেলোয়াড় হিসেবে তাঁকে বেছে নিতেও খুব বেশি ভাবতে হয়নি বিচারকদের। ৬ ম্যাচ খেলে ১১.৩৮ গড়ে ১৩ উইকেট; ইকোনমি ৬.৫২—টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এমন বোলিং, সেরার পুরস্কারটা তাঁর হাতে তুলে না দিয়ে উপায়ই ছিল না।

ফাইনালে ১২ রানে ৩ উইকেট নেন স্যাম কারেন
ছবি: শামসুল হক

গোটা বিশ্বকাপেই ডেথ ওভারে দুর্দান্ত ছিল কারেনের বোলিং। গত দুই আসরেই ডেথ বোলিং ইংল্যান্ডকে ভুগিয়েছে, কিন্তু এবার বাটলারের অন্যতম ভরসার নাম হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ফাইনালে শুধু ডেথে নয়, মার্ক উডের অনুপস্থিতিতে উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রেও অন্যতম ভরসার নাম ছিলেন কারেন।

ওই যে ‘টো অ্যান্ড টিথ’ বোলিং, সেটির এমন সার্থক প্রয়োগ ঘটিয়েছেন তিনি। আঁটসাঁট লাইন লেংথ থেকে ইনসুইং বা আউট সুইং, সেটি তাঁর বোলিংয়ের বৈশিষ্ট্যই। কিন্তু এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনি ডেথ ওভারে এসে ব্যাটসম্যানদের পায়ের বুড়ো আঙুল আর দাঁত বরাবর বোলিং করে গেছেন ধারাবাহিকভাবেই।

সেই সঙ্গে ছিল অফ কাটারের ছোবল। ‘নাকল’ বোলিংটাও মন্দ করেননি। বাউন্সারও রপ্ত করে ফেলেছেন দারুণ। সহজাত বাঁহাতি পেসারের অ্যাঙ্গেলের সঙ্গে ইয়র্কার দিয়েও তিনি ‘নাকাল’ করেছেন ব্যাটসম্যানদের।

আরও পড়ুন

ফাইনালে ম্যাচজয়ী বোলিংই তাঁর। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার হওয়ার পর তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘আমি আসলে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। এখন সময়টা উপভোগের।’
সেরা খেলোয়াড় হলেও তাঁর আসল শ্রদ্ধা বেন স্টোকসের প্রতিই। বল হাতে নিজের কাজটা সেরে স্টোকসের ব্যাটিংটাই তিনি দেখেছেন মুগ্ধ চোখে, ‘আমার মনে হয় না, যে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটা আমার প্রাপ্য। কিন্তু স্টোকস যেভাবে খেলল...এই উপলক্ষটা বিশেষই। আমরা এখন সময়টা উপভোগ করব।’

ফাইনালে নিজের বোলিংয়ের পরিকল্পনাটাও ভেঙে বলেছেন কারেন, ‘এই মাঠের (এমসিজি) দুই পাশের বাউন্ডারি অনেক বড়। উইকেট পেস বোলারদের কিছুটা সহায়তা করেছে। বল এদিক-ওদিক করেছে। ব্যাটসম্যানদের পক্ষে মারা কঠিন ছিল। আমি প্রচুর স্লোয়ার দিয়েছি। ব্যাটসম্যানদের সব সময়ই বিভ্রান্তির মধ্যে রেখেছি।’