হারটা হজম হচ্ছে না উইলিয়ামসনের

আবারও উইলিমাসনের সেমিফাইনাল দুঃখছবি: এএফপি

সেই একই গল্পের পুনরাবৃত্তি যেন! পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনালের আগে বারবার ফিরে আসছিল, ১৯৯২ এবং ১৯৯৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ। এবারের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান যেভাবে খাদের কিনার থেকে সেমিতে উঠেছে তাতে ’৯২–এর সঙ্গেই তুলনা হচ্ছিল বেশি।

সেবার কোনোমতে সেমিতে জায়গা করে নিয়ে শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ জিতেছিলেন ইমরান-ওয়াসিমরা। ১৯৯২ আর ১৯৯৯—দুবারই সেমিতে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে খেলেছিল পাকিস্তান।

তবে ইতিহাসটা এ যাত্রায় বদলাতে চেয়েছিলেন কেইন উইলিয়ামসনরা। ’৯২-এর পুনরাবৃত্তির পাশাপাশি বিশ্বকাপ শিরোপা হাতে তুলতে না পারার আক্ষেপটাও ভুলতে চেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু পুরোনো চিত্রনাট্য এবারও বদলানো যায়নি। গোটা লড়াইয়ের পর পরাজিত দলের নাম সেই নিউজিল্যান্ডই।

এভাবে বারবার কাছাকাছি গিয়ে ব্যর্থতা নিয়ে ফেরার যন্ত্রণা যেন সহ্য হচ্ছে না কিউই অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনের। ম্যাচ শেষে পাকিস্তানকে কৃতিত্ব দিলেও বলেছেন, এই হার হজম হচ্ছে না তাঁর।

আরও পড়ুন

শুরুতে পাকিস্তানি বোলাররা চাপে ফেললেও উইলিয়ামসনের ৪২ বলে ৪৬ আর ড্যারিল মিচেলের ৩৫ বলে ৫৩ রানে স্কোরবোর্ডে ১৫২ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসের পর কিউইদের এই সংগ্রহকে যথেষ্টই চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছিল। তবে দুই পাকিস্তানি ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজমের ১০৫ রানের জুটিতে দ্রুতই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় নিউজিল্যান্ড।

দলের পারফরম্যান্সে হতাশ উইলিয়ামসন
ছবি: এএফপি

দলের এমন পারফরম্যান্সে হতাশ নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ম্যাচ শেষে নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেছেন, ‘শুরুতেই আমরা চাপে পড়ে গেছি। পাকিস্তান দারুণ বল করেছে। মিচেলের অবিশ্বাস্য ইনিংসে কিছুটা মোমেন্টাম ফিরে পেয়েছিলাম। অর্ধেক ম্যাচ শেষে আমরা ধারণা করেছিলাম, এটা লড়াইয়ের মতো সংগ্রহ। উইকেট কিছুটা কঠিন ছিল।’

আরও পড়ুন

নিজেদের বোলিংয়ে উইলিয়ামসন যেভাবে ভেবেছিলেন, তেমনটা হয়নি। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের কাছে সেমিফাইনালে দেখা মিলল আরেকটি হারের।

কিউই অধিনায়ক আরও যোগ করে বলেছেন, ‘খুবই হতাশাজনক ব্যাপার যে আমরা পাকিস্তানের কাজকে কঠিন করে তুলতে পারিনি। তারা অসাধারণ খেলেছে। আমরা দাঁড়াতে পারিনি। এই হার হজম করা কঠিন। বাবর আর রিজওয়ান আমাদের আমাদের চাপে ফেলেছে। সত্যি কথা বলতে, আমরা চেয়েছিলাম নিজেদের জায়গাগুলোতে আরও ভালো খেলতে। তবে দিন শেষে পাকিস্তান ছিল যোগ্য দল। টুর্নামেন্টে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। সুপার টুয়েলভে আমরা ভালো খেলেছি। আজ আমরা নিজেদের সেরাটা খেলতে পারিনি।’