নেগেটিভ হলেই মাঠে নামবেন সাকিব

সাকিব আল হাসানপ্রথম আলো ফাইল ছবি

করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়েই যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের বিমান ধরেছেন। পরশু গভীর রাতে ঢাকায় পৌঁছে কাল দ্বিতীয় দফা করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বিকেলে তাঁর বনানীর বাসায় গিয়ে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের (ডিজিএইচএস) তিন কর্মী করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়েছেন। পরীক্ষায় নেগেটিভ হলে দুই-তিন দিনের মধ্যে বিকেএসপিতে অনুশীলন শুরু করবেন সাকিব।

বাংলাদেশ দলের হয়ে সাকিব সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন প্রায় এগারো মাস আগে। আইসিসির নিষেধাজ্ঞার আগে কেমন ফর্মে ছিলেন, সেটা তাঁর সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচের স্কোরকার্ড দেখলেই মনে পড়বে। গত সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ ছিলেন সাকিবই। তার আগে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে সাকিব রান করেন ৬০৬, উইকেট নেন ১১টি। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দীর্ঘ ক্যারিয়ারেও কখনো এতটা ভালো ফর্মে ছিলেন না সাকিব।

সাকিব যেন সেই ছন্দটা নিয়েই আবার মাঠে ফিরতে পারেন, বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন অনুশীলনের পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন সেভাবেই। মুঠোফোন কাল তিনি বলেছেন, ‘নিয়মিত খেলার মধ্যে না থাকলে মরচে পড়ার সুযোগ থাকেই। ফিটনেস আর দক্ষতা—দুই ক্ষেত্রেই এটা হয়। তখন আত্মবিশ্বাসটাও কমে আসে।’ সাকিবের প্রস্তুতিপর্বটা তাই শুরু হবে ফিটনেসের কাজ দিয়েই। ধাপে ধাপে করবেন নেট অনুশীলন ও দক্ষতা বাড়ানোর অন্যান্য কাজ। তবে মাঠে নামার আগে প্রস্তুতি ম্যাচের অভাবটা হয়তো থেকেই যাবে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের।

সাকিবের প্রস্তুতিপর্ব শুরু হবে ফিটনেসের কাজ দিয়ে। ধাপে ধাপে করবেন নেট অনুশীলন ও দক্ষতা বাড়ানোর অন্যান্য কাজ।
প্রথম আলো ফাইল ছবি

কিন্তু ২৯ অক্টোবর আইসিসির নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার আগে কোনো ধরনের প্রস্তুতি ম্যাচই খেলার সুযোগ নেই তাঁর। নাজমুল আবেদীনও তাই অনুশীলনের পরিকল্পনায় প্রস্তুতি ম্যাচ রাখতে পারেননি। সাকিবের ক্রিকেটীয় ফিটনেস ফিরে পেতে তাই প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় লাগতে পারে বলে তাঁর ধারণা, ‘দুই-একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার পর আশা করি ও আগের জায়গায় চলে আসবে। আমরা যেহেতু ম্যাচ খেলতে পারছি না, পুরো ক্রিকেটীয় ফিটনেস আসাটা কঠিন হবে। এত বড় বিরতির পর ম্যাচ খেলাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেটা যদি আমরা না করতে পারি, একটা অসম্পূর্ণতা তো থাকবেই।’

তবে একটা আশার কথাও শুনিয়েছেন তিনি। ক্রিকেটীয় দক্ষতা ফিরে পেতে ৩৩ বছর বয়সী সাকিবের বড় হাতিয়ার হতে পারে অভিজ্ঞতা, ‘যার অভিজ্ঞতা যত বেশি, তাঁর ফিরে আসাটা তত সহজ।’

সাকিবের প্রস্তুতি পর্বটা বিকেএসপিতে হলেও বিসিবিও তাতে পরোক্ষভাবে সাহায্য করবে। সাকিবের সঙ্গে এককভাবে কাজ করতে পারেন জাতীয় দলের কোচরাও। তাতে আইসিসিরও কোনো বাধা নেই।