মোস্তাফিজদের কাছে হেরে গেলেন তামিমরা
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে চট্টগ্রাম কাউকে ধারেকাছে আসতে দিচ্ছিল না। প্রথম দুই ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন এ দলের বোলাররা। এরপর ছোট লক্ষ্য অনায়াসে তাড়া করেছেন লিটন দাস ও সৌম্য সরকাররা। এমন দাপটের মাঝে ব্যাটিং করার সুযোগ পাননি অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। আজ একটু ভিন্ন কিছু হলো।
আজ গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম সে সুযোগ পায়নি। প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১৫১ রান তুলেছিল দলটি। কিন্তু বোলাররা আজও হতাশ করেননি। এ লক্ষ্যকেই কঠিন বানিয়ে দিয়েছেন বরিশালের জন্য। তামিম ইকবালসমৃদ্ধ ব্যাটিং লাইনআপও এ রান তাড়া করতে নেমে হেরে গেছে ১০ রানে।
চট্টগ্রামের বোলিং লাইনআপ যথেষ্ট শক্তিশালী। মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও নাহিদুল ইসলাম আছে এ দলে। তবে আজ বরিশালের হারের দায় দলটির ব্যাটসম্যানদের। ১৫২ রান তাড়া করতে নেমে তারা যেভাবে শুরু করেছে, সেটা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। পুরোপুরি ওয়ানডে ছন্দে খেলেছে দলটির টপ অর্ডার।
মেহেদী হাসান মিরাজ চতুর্থ ওভারে আউট হওয়ার আগে ১৩ বলে ঠিক ১৩ রান করেছেন। অন্য প্রান্তে তামিম ইকবালও এগিয়েছেন ওয়ানডে মেজাজে। আজ ব্যর্থ হয়েছেন পারভেজ হোসেনও। ১৬ বলে ১১ রান করেছেন পারভেজ। পাওয়ার প্লেতে ৪১ রান তোলা দলটি পাওয়ার প্লের পরও ধীরে এগিয়েছে।
১০ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৬৫ রান ছিল বরিশালের। উইকেটে তখনো অধিনায়ক তামিম। শুরুতে ধীরগতিতে খেলা তামিমের ওপরই দায়িত্ব ছিল ইনিংসের বাকি সময়ে সেটা পুষিয়ে নেওয়ার। কিন্তু তামিম উল্টো ১১তম ওভারেই আউট মোসাদ্দেকের বলে। ৩২ বলে ঠিক ৩২ রান করেছেন তামিম।
অধিনায়কের বিদায়ের পর আর ম্যাচে ফেরা হয়নি বরিশালের। একের পর এক উইকেট হারিয়েছে দলটি। ১২২ রানে অষ্টম উইকেট হারিয়ে ফেলার পর তো অলআউট হওয়ার আশঙ্কাই জেগেছিল। সুমন খান ও কামরুল ইসলাম সেটা হতে না দিলেও পরাজয় এড়াতে পারেননি। শরিফুল ২৭ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। মোস্তাফিজের ৩ উইকেট এসেছে ২৩ রানে। মোসাদ্দেক মাত্র ১ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়েছেন।