ম্যাচ পাতানোর খোঁচা খেলেন সালমান বাট

স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনা আজীবন তাড়িয়ে বেড়াবে মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ আসিফ ও সালমান বাটকে।ফাইল ছবি

ভারতের মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার ভালো বন্দোবস্ত করেছেন সালমান বাট। বিরাট কোহলি প্রসঙ্গে মাইকেল ভনকে বেশ একহাত নিয়েছেন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ককে ব্যাটসম্যান হিসেবে একেবারেই গোনায় ধরেননি। ভালো টেস্ট ব্যাটসম্যান হলেও ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি নেই বলে নাকি এ নিয়ে আলোচনার কিছুও খুঁজে পান না বাট। কথাগুলো কড়া, তাতে সন্দেহ নেই। এমনিতেই টুইটার ও ফেসবুকে বেশ ব্যস্ত সময় কাটানো ভন তাই জবাব দিতে দেরি করেননি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের লড়াইয়ে যা হয়, সেটাই করেছেন ভন। বিরাট কোহলি, কেন উইলিয়ামসনদের মধ্যে কে ভালো, সে প্রসঙ্গ নিয়ে শুরু হয়েছিল তর্ক। তাতে বাট টেনে এনেছেন ভনের ব্যাটসম্যানসত্তাকে। আর পাল্টা জবাব দিতে তাই ভন ছুড়েছেন ব্রহ্মাস্ত্র। সে প্রসঙ্গ টানলেই মুখে কুলুপ আঁটতে বাধ্য বাট, সেটাই টেনে এনেছেন। বলেছেন, তিনি আর যা-ই করুন না কেন, সালমান বাটের মতো অন্তত ম্যাচ পাতাননি।

আরও পড়ুন

মাইকেল ভনকে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বেশ ভালোভাবেই আক্রমণ করেছিলেন বাট। সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘এ দুজনের (কোহলি-উইলিয়ামসন) তুলনা কে করেছেন? মাইকেল ভন। তিনি ইংল্যান্ডের খুব ভালো অধিনায়ক ছিলেন। কিন্তু ব্যাট হাতে ছিলেন গড়পড়তা। খুব ভালো টেস্ট ব্যাটসম্যান ছিলেন। কিন্তু ওয়ানডেতে ভনের কোনো সেঞ্চুরি নেই। একজন ওপেনার হিসেবে আপনার যদি কোনো সেঞ্চুরি না থাকে, তাহলে আপনাকে নিয়ে আলোচনা করারই প্রয়োজন নেই। তাঁর স্বভাবই হলো বিতর্ক জন্ম দেওয়ার জন্য কিছু একটা বলা। তা ছাড়া যেকোনো ব্যাপারেই মানুষ একটু বেশি বকে।’

কেন উইলিয়ামসনকে বিরাট কোহলির চেয়ে ভনের এগিয়ে রাখার প্রসঙ্গে বাট আরও বলেছিলেন, এ ব্যাপারে ভনের মন্তব্যের কোনো গুরুত্বও নেই। ভারতীয় এক পত্রিকা বাটের কথা দিয়ে এক প্রতিবেদন করে সেটা টুইটারে ভনকে ট্যাগ করে বসে। এরই জবাবে ভন বলেছেন, ‘শিরোনামে কী বলছে কোনো ধারণা নেই...কিন্তু আমি দেখেছি সালমান আমার ব্যাপারে কী বলেছে...সেটা ঠিকই আছে এবং তার নিজের মত দেওয়ার অধিকার আছে। আমার একটাই দুঃখ, ২০১০ সালে যখন সে ম্যাচ পাতাচ্ছিল, তখন যদি এত পরিষ্কার চিন্তাভাবনা করতে পারত!’

মাইকেল ভন।
ছবি: টুইটার

২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফর করতে যাওয়া পাকিস্তান দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন সালমান বাট। সে সময় নিজেই শুধু স্পট ফিক্সিংয়ে জড়াননি, সেই সঙ্গে দলের দুই পেসারকেও এই অপকর্মে যুক্ত করেছিলেন। মোহাম্মদ আসিফের মতো দুর্দান্ত এক বোলারকে পাকিস্তান সে কাণ্ডেই হারিয়েছে। আর মাত্র ১৮ বছর বয়সী মোহাম্মদ আমির ক্যারিয়ারের উঠতি সময়ে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। এ ঘটনায় জেলেও যেতে হয়েছিল সালমান বাটকে। ২০১১ সালের নভেম্বর থেকে ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত জেল খাটা বাট পরে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেললেও আর জাতীয় দলে ফেরা হয়নি।

শুধু টুইট করেই ক্ষান্ত হননি মাইকেল ভন। নিজের ফেসবুক পেজ থেকে আরেক দফা খুঁচিয়েছেন বাটকে। লিখেছেন, ‘এটা বলতে ভুলে গেছে যে আমি অন্য কিছু লোকের মতো ম্যাচ পাতাইনি, আমাদের এই মহান খেলাকে কলঙ্কিত করিনি।’
এর আগে আগামী মাসের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল প্রসঙ্গে স্পার্ক স্পোর্টের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই ঝামেলা পাকিয়েছিলেন ভন। দুই দলের দুই অধিনায়কের মধ্যে তুলনা টনতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘যদি কেন উইলিয়ামসন ভারতীয় হতো, সে-ই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হতো। কিন্তু সে সেরা ব্যাটসম্যান নয়, কারণ বিরাট কোহলি সেরা নয় এটা আপনাকে কেউ বলতে দেবে না। কারণ, এটা বললেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আপনার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠবে।’