টেস্ট ক্রিকেটে এক ইনিংসে ৬ ব্যাটসম্যানের শূন্য রানে ফেরত যাওয়ার ঘটনা আবারও ঘটাল বাংলাদেশ। পরপর দুই টেস্টে ঘটল এমন কিছু। গত মাসেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের ৬ ব্যাটসম্যান শূন্য রানে ফিরেছিলেন। যদিও সেই টেস্টে মুশফিকুর রহিমের ১৭৫ আর লিটন দাসের ১৪১ বাংলাদেশের মান বাঁচিয়েছিল। দল করেছিল ৩৬৫। কিন্তু কাল অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১০৩ রানেই। এর আগে ২০০২ সালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই শূন্য রানে ৬ ব্যাটসম্যানকে আউট হতে দেখেছে বাংলাদেশ।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ইনিংসে ৬ ব্যাটসম্যানের শূন্য রানে ফেরার ঘটনা আছে সাতটি। এর মধ্যে বাংলাদেশেরই এমন ‘কীর্তি’ তিনবার। ১৯৮০ সালে প্রথমবার শূন্য রানে ৬ ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার ‘কীর্তি’ পাকিস্তানের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই। এরপর ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড একবার করে এমন রেকর্ডের মুখোমুখি হয়েছে।
গতকাল অ্যান্টিগায় বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন, নুরুল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান ও খালেদ আহমেদ শূন্য রানে আউট হন। গত মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শূন্য রানে আউট হওয়া ৬ ব্যাটসম্যানের মধ্যে এই মাহমুদুল হাসান ও খালেদ আহমেদ ছিলেন। বাকি চারজন ছিলেন তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন ও ইবাদত হোসেন।
২০০২ সালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১৩৯ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সে ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়া ছয় ব্যাটসম্যান ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল, অলক কাপালি, খালেদ মাসুদ, এনামুল হক (মনি), তাপস বৈশ্য ও তালহা যুবায়ের। ক্যারিবীয় পেসার জারমেই লসন ৬.৫ ওভার বোলিং করে ৪ মেডেনে মাত্র ৩ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট।
টেস্টে এক ইনিংসে শূন্য রানে ৬ উইকেট হারানের ৭ ঘটনা
১. পাকিস্তান, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১৯৮০
২. দক্ষিণ আফ্রিকা, প্রতিপক্ষ ভারত, ১৯৯৬
৩. বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০০২
৪. ভারত, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, ২০১৪
৫. নিউজিল্যান্ড, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, ২০১৮
৬. বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, ২০২২
৭. বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০২২