১০ দিনে ৮ গোল, হলান্ড ঝড়ে উড়ে গেল ইউনাইটেড
ম্যানচেস্টার সিটি ৩ : ০ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
অবশেষে কী ঘুম ভাঙল ম্যানচেস্টার সিটির? মৌসুমটা শুরু হয়েছিল একটু ঢিমেতালে, একটা জয়ের পর টানা দুই হার। তবে আজ নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে সিটিকে পাওয়া গেল চেনা ছন্দে। ম্যাচের প্রথম গোলটা করেন ফিল ফোডেন। তিনিও দিলেন চেনা রূপে ফেরার আভাস। তবে রাতটা ছিল আসলে আর্লিং হলান্ডময়। পুরো মাঠজুড়ে খেলেছেন তাঁর প্রভাব, দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল করে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছেন ইউনাইটেডকে। সিটি শেষ পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ডার্বি জিতেছে ৩-০ গোলে।
এই ম্যাচের সময় হয়তো কোথাও থেকে ইতিহাদের দিকে তাকিয়ে হাসছিলেন রিকি হ্যাটনও। ব্রিটিশ বক্সিং কিংবদন্তি, সিটির গর্বিত সমর্থক। ম্যানচেস্টার ডার্বির মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি মারা যান। জানা গেছে, ম্যাচে উপস্থিত থাকার কথা ছিল তাঁর। মৃত্যুর খবর আসার পরপরই ক্লাব তাঁর জন্য আনুষ্ঠানিক শ্রদ্ধা জানানোর আয়োজন করে। এমন আবেগঘন এক দিনে সিটির এই পারফরম্যান্স দেখে হ্যাটন নিশ্চয়ই গর্বিত হতেন।
আর এই জয়টাও সিটির খুব দরকার ছিল। লিভারপুলের নাটকীয় জয়ের পর, শিরোপা লড়াইয়ে থাকতে হলে এই ম্যাচটা জিততেই হতো পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের। আন্তর্জাতিক বিরতির আগে টানা দুই হারের ধাক্কা পেছনে ফেলে আবার যেন বিধ্বংসী রূপে ফিরছে সিটি।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড খুব একটা খারাপ খেলেনি। ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকার সময় ব্রায়ান এমবেউমোর শটটা যদি জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা ঠেকিয়ে না দিতেন, হয়তো ম্যাচে ফিরেও আসতে পারত তারা।
প্রিমিয়ার লিগে এ নিয়ে দশম ম্যানচেস্টার ডার্বি জিতলেন পেপ গার্দিওলার। দুই কিংবদন্তি কোচ—স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন (২০) ও ম্যাট বাসবির (১৫) পর এই তালিকায় তিনি এখন তৃতীয়।
আর হলান্ড? তাঁকে থামাতে গিয়ে যেন ভয়ই পাচ্ছিল ইউনাইটেডের রক্ষণভাগ। ডার্বি জিততে হলে জান দিয়ে লড়তে হবে, ম্যাচের আগেই বলেছিলেন। নিজেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন সেই লড়াইয়ে। এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ৪ ম্যাচে তাঁর গোল সংখ্যা এখন ৫। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৬ ম্যাচে ১১ গোল! গত ১০ দিনেই করেছেন ৮ গোল। এই হলান্ডকে থামানোর সাধ্য কার!