শুধু ইংল্যান্ডের জয়ই দেখছি
গ্রুপ পর্বের শেষ রাউন্ডটা চমকপ্রদ এক জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। কী যে হবে, অনুমান করা কঠিন। এখন পর্যন্ত কোনো দল জোর দিয়ে বলতে পারছে না দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবেই। আবার নিশ্চিত বাদ পড়বে ধরে নিয়ে হাহুতাশ করারও কিছু নেই বেশির ভাগ দলের। পেন্ডুলামের মতো ঝুলছে দলগুলোর ভাগ্য।
আজ ভাগ্য নির্ধারণ হবে ‘এ’ ও ‘বি’ গ্রুপে আট দলের সাতটির। সাত দল বলছি কারণ, ‘এ’ গ্রুপে স্বাগতিক কাতারের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর ওদের আর আশা নেই। তবে শেষ ম্যাচে কাতার বলার মতো কিছু করতে চাইবে। তাই জোর দিয়ে বলতে পারছি না নেদারল্যান্ডস জিতবেই।
দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট পাওয়া নেদারল্যান্ডস এখন পর্যন্ত যা খেলেছে, সেটা খুব ভালো নয়, আবার খারাপও নয়। সহজাত এই ইউরোপিয়ান দলটাকে নিয়ে আমার কোনো উচ্চাশাও নেই। যদিও আজ ইরানের সঙ্গে ড্র হলেও চলবে তাদের। তবে আমার ধারণা, নেদারল্যান্ডস দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলেও বেশি দূর যেতে পারবে না। বড় কিছু করার মতো দল মনে হয়নি ওদের।
একই গ্রুপের ইকুয়েডর-সেনেগালের ম্যাচটা জমে উঠতে পারে। জয়ী দল যেহেতু নকআউটে যাবে, দুদলই সেরা ফুটবল খেলবে। আফ্রিকার দলগুলো এমনিতে শরীরনির্ভর ফুটবল বেশি খেলে। তবে আগের দুই ম্যাচে সেনেগালের খেলায় বুদ্ধির ছাপও দেখেছি। মাথা ঠান্ডা রেখে খেলতে পারলে তাদেরও সুযোগ থাকবে। অবশ্য এই ম্যাচে কে জিতবে, সেই অনুমানের ঝুঁকিতে যাচ্ছি না আমি।
আজকের চার ম্যাচে শুধু ইংল্যান্ডের জয়ই আগাম দেখছি। মানে ইংল্যান্ড জিতবে কথাটা জোর দিয়ে বলতে পারছি। বাকি দলগুলোর ভাগ্যে কী আছে, শেষ বাঁশির পর বোঝা যাবে। ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপে হ্যারি কেইনরা দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ঠিকই, তবে সাউথগেটের ছেলেরা ৭ পয়েন্ট নিয়েই নকআউটে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। ধারে ও ভারে ইংল্যান্ড অনেক এগিয়ে ওয়েলসের চেয়ে।
‘বি’ গ্রুপে বড় আকর্ষণ যুক্তরাষ্ট্র-ইরান দ্বৈরথ, যা মাঠের লড়াই ছাপিয়ে ভিন্ন মাত্রা পায় দুই দেশের রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে। দুই দেশই ম্যাচটাকে নেয় মর্যাদার লড়াই হিসেবে।
যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপ নিয়ে মাতামাতি নেই। তারপরও তাদের দলটা কিন্তু ভালো খেলছে। তবে দিন শেষে জিততে পারে যে কেউ। ইরানের হাতে আছে তিন পয়েন্ট, যুক্তরাষ্ট্রের দুই। যে অবস্থায় ম্যাচটা দাঁড়িয়ে, আমি বলব এটা গ্রুপ ফাইনালের মতোই।