টুইটারে সবচেয়ে বেশি গালি খান রোনালদো

আগামী বছর চ্যাম্পিয়নস লিগে থাকবেন না রোনালদোছবি: রয়টার্স

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সোনালি সেই দিন আর নেই। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের অধীন ইংল্যান্ড মাতানো দলটা এখন বলতে গেলে ট্রফিখরার সঙ্গেই নিত্য বসবাস করে।

বছরের পর বছর ধরে খেলোয়াড়দের বাজে পারফরম্যান্স দেখে ইউনাইটেড-ভক্তদের শুধু হতাশাই বাড়ে। যার প্রতিফলন দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। রোনালদোরা প্রায়ই সমর্থকদের রোষানলের শিকার হন। ইউনাইটেডকে যাঁরা সমর্থন করেন না, তাঁরা তো এমনিতেই রোনালদো-ম্যাগুয়ারদের পিণ্ডি চটকান নিয়মিত, অনেক সময় ঘৃণাও ছড়ান।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুয়ার
ছবি: রয়টার্স

সেই ঘৃণা ছড়ানোর মাত্রাটা কতটুকু, সেটা বের করেছে অ্যালান টিউরিং ইনস্টিটিউট। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়দের মধ্যে গত মৌসুমের প্রথম ভাগে রোনালদো আর ম্যাগুয়ারই টুইটারে সবচেয়ে বেশি গালি খেয়েছেন, বিদ্বেষপূর্ণ টুইটের শিকার হয়েছেন, গবেষণা করে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

নির্ধারিত সময়সীমায় রোনালদোকে উদ্দেশ্য করে ঘৃণামূলক টুইট করা হয়েছে ১২ হাজার ৫২০টি। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অধিনায়ক হ্যারি ম্যাগুয়ার। তাঁকে উদ্দেশ্য করে টুইটারে ৮ হাজার ৯৫৪ বার গালি দেওয়া হয়েছে।
শীর্ষ দশে থাকা খেলোয়াড়দের মধ্যে আটজনই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের।

আরও পড়ুন

রোনালদো আর ম্যাগুয়ার ছাড়াও যে তালিকায় আছেন মার্কাস রাশফোর্ড, ব্রুনো ফার্নান্দেস, ফ্রেদ, জেসি লিনগার্ড, পল পগবা ও দাভিদ দা হেয়া। শীর্ষ দশে থাকা বাকি দুই খেলোয়াড় হলেন টটেনহাম হটস্পারের স্ট্রাইকার হ্যারি কেইন ও ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার জ্যাক গ্রিলিশ। কেইনের অবস্থান পঞ্চম, তাঁকে নিয়ে টুইটারে ২ হাজার ১২৭ বার বিদ্বেষপূর্ণ টুইট করা হয়েছে, ১ হাজার ৫৩৮টি ঘৃণার টুইট করা হয়েছে গ্রিলিশকে।

রোনালদো আর ম্যাগুয়ার কখন গালি খেয়েছেন সবচেয়ে বেশি? সেটাও বের করেছে অ্যালান টিউরিং ইনস্টিটিউট। জুভেন্টাস থেকে গত মৌসুমে রোনালদো যখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে আবার নাম লেখালেন, তখনই সবচেয়ে বেশি বিদ্বেষের শিকার হয়েছেন।

ইংল্যান্ড তারকা হ্যারি কেইন
ছবি: রয়টার্স

আর গত নভেম্বরে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ডার্বি হারের পর টুইটারে সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে একটা চিটি লিখেছিলেন হ্যারি ম্যাগুয়ার। ইংল্যান্ডের এই ডিফেন্ডার তখনই গালি খেয়েছেন সবচেয়ে বেশি।

২৩ লাখ টুইট নিয়ে গবেষণা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যার মধ্যে প্রায় ৬০ হাজার টুইটই বিদ্বেষমূলক।