ভোটে পাস হলো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খরচের সীমা বেঁধে দেওয়ার নীতি

নিয়মটি কার্যকর হলে খরচ কমাতে হতে পারে ম্যানচেস্টার সিটি ও চেলসির মতো দলগুলোকেএএফপি

অঢেল টাকা খরচ করে দল বানানোর দিন বোধ হয় ফুরাচ্ছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। ক্লাবগুলো যে স্পেনডিং ক্যাপ বা খরচের সীমারেখা বেঁধে দেওয়ার ব্যাপারে নীতিগতভাবে ‘একমত’ হয়েছে। লন্ডনে সোমবার ভোট হয়েছে এ বিষয়ে। সেই ভোটে খরচের সীমারেখা বেঁধে দেওয়ার পক্ষে রায় এসেছে।

২০টি ক্লাবের মধ্যে ১৬টিই ভোট দিয়েছে খরচ কমানোর পক্ষে। বিপক্ষে ভোট পড়েছে তিনটি। আর একটি ক্লাব ভোট দেয়নি। প্রস্তাবিত আর্থিক নীতির বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ম্যানচেস্টারের দুই ক্লাব ইউনাইটে ও সিটি এবং অ্যাস্টন ভিলা। আর ভোটদানে বিরত ছিল চেলসি।

আগামী জুনে প্রিমিয়ার লিগের এজিএমে অনুমোদন পেলেই আইনে পরিণত হবে খরচের বিষয়টি। এখন চালু আর্থিক সংগতি নীতির বদলে কার্যকর হবে খরচ বেঁধে দেওয়ার নতুন এ আর্থিক নীতি। তবে নতুন এ আর্থিক নীতি কার্যকর হবে ২০২৫-২৬ মৌসুম থেকে।

অ্যাস্টন ভিলাও ভোট দিয়ে নতুন নীতির বিপক্ষে
রয়টার্স

একটি ক্লাব সর্বোচ্চ কত খরচ করতে পারবে, সেটি নির্ধারিত হবে লিগের সবচেয়ে তলানির দলটির টেলিভিশন সম্প্রচারস্বত্ব ও অন্যান্য বাণিজ্যিক আয়ের অনুপাতে।

আরও পড়ুন
প্রস্তাবিত নতুন আর্থিক নীতিতে সবচেয়ে কম আয়কে ভিত্তি ধরা হবে। সেই ক্লাবের মোট আয়ের সর্বোচ্চ পাঁচ গুণ খরচ করতে পারবে ক্লাবগুলো।

বর্তমান আর্থিক সংগতি নীতি ভঙ্গের অভিযোগে এ মৌসুমে জরিমানা করা হয়েছে এভারটন নটিংহাম ফরেস্টকে। দুটি ক্লাবেরই পয়েন্ট কাটা গেছে। তবে বর্তমানে চালু থাকা আর্থিক সংগতি নীতির কারণে লাভজনক ধনী ক্লাবগুলো ‘অন্যায্য’ সুবিধা পাচ্ছে বলে সমালোচনাও আছে। বর্তমান আইনে তিন মৌসুমের একটি চক্রে একটি ক্লাবের সর্বোচ্চ সাড়ে ১০ কোটি পাউন্ড আর্থিক ক্ষতি মেনে নেওয়া হয়। এর বেশি ক্ষতি হলে নেমে আসে শাস্তির খড়্গ। প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষের দাবি ক্লাবগুলোকে দীর্ঘ মেয়াদে আর্থিকভাবে টেকসই করতেই আর্থিক সংগতি নীতি।

প্রস্তাবিত নতুন আর্থিক নীতিতে সবচেয়ে কম আয়কে ভিত্তি ধরা হবে। সেই ক্লাবের মোট আয়ের সর্বোচ্চ পাঁচ গুণ খরচ করতে পারবে ক্লাবগুলো। গত মৌসুমে সবচেয়ে তলানির দল সাউদাম্পটন টেলিভিশন স্বত্ব থেকে ১০.৪ কোটি পাউন্ড আয় করেছিল। যার অর্থ সর্বোচ্চ প্রায় ৫২ কোটি পাউন্ড খরচ করতে পারবে ক্লাবগুলো। কিন্তু গত মৌসুমে চেলসি খরচ করেছিল ৫৩.৯ কোটি পাউন্ড। ম্যানচেস্টার সিটি খরচ করেছিল একটু কম—৫০.১ কোটি পাউন্ড।

আরও পড়ুন