গাড়ির পেছনে ৮ মাসেই হলান্ডের খরচ ৬০ কোটি টাকার বেশি

ম্যানচেস্টার সিটি তারকা আর্লিং হলান্ডরয়টার্স

আর্লিং হলান্ড মানেই ফুটবল মাঠে গতি আর নিখুঁত ফিনিশিংয়ের প্রদর্শনী। কিন্তু মাঠের বাইরে ম্যানচেস্টার সিটির এই স্ট্রাইকারের আরও একধরনের গতির নেশা আছে। সেটা হলো রাস্তায় বিলাসবহুল গাড়ি চালানোর নেশা। তবে হলান্ডের জন্য বিষয়টা এখন শুধু শখের পর্যায়ে আটকে নেই।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা বলছে, নরওয়েজীয় এই স্ট্রাইকার গাড়ির নেশাকে এখন উচ্চ–অকটেনসম্পন্ন এক আসক্তিতে রূপান্তরিত করেছেন। যার পেছনে তিনি চলতি বছরে এরই মধ্যে ৫০ লাখ ইউরো বা ৬০ কোটি ৭৬ লাখ ইউরোর বেশি খরচ করেছেন।

২৫ বছর বয়সী হলান্ড প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলার। মৌসুম প্রতি তাঁর বেতন ৪৪৫ কোটি ৬৯ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। আর এই উপার্জনের একটা অংশ তিনি খরচ করেছেন গাড়ির পেছনে। বলা হচ্ছে, হলান্ডের গ্যারেজে থাকা সুপার কারগুলো যেকোনো ধনী গাড়ি সংগ্রাহকের সংগ্রহকেও টক্কর দিতে পারে।

আরও পড়ুন

তাঁর সর্বশেষ কেনা গাড়ি হলো ফোর্ড শেলবি এফ-১৫০ সুপার স্নেক স্পোর্ট। যার দাম দুই লাখ ইউরোর বেশি, যাতে আছে ৫ লিটার ভি৮ ইঞ্জিন। এটি ০ থেকে ৬০ মাইল গতিতে পৌঁছতে সময় নেয় মাত্র ৩.৪ সেকেন্ড। কোনো ফুটবলারকে সাধারণত অনুশীলন শেষে এমন গাড়ি নিয়ে বের হতে দেখা যায় না। কিন্তু হলান্ড মোটেও গাড়ি নিয়ে লুকোছাপা করেন না। মাঠের মতোই মাঠের বাইরেও তিনি চান আগ্রহের কেন্দ্রে থাকতে।

যেমন গত সপ্তাহেও ম্যানচেস্টার সিটির প্রশিক্ষণ মাঠে হলান্ড হাজির হয়েছিলেন তাঁর চোখধাঁধানো নতুন গাড়ি নিয়ে। মার্কা বলছে, গত জানুয়ারিতে প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় চুক্তি সই করার পর হলান্ডের গাড়ির নেশা আরও বেড়েছে। যে কারণে গাড়ির পেছনে তিনি বিনিয়োগও অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে হলান্ডের গ্যারেজে জায়গা পেয়েছে কমলা রঙের পোর্শে ৯১১ জিটি৩ (প্রায় ২ লাখ ইউরো), হলুদ ফেরারি ৮১২ সুপারফাস্ট কনভার্টিবল (প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার ইউরো) আর অ্যাস্টন মার্টিন ডিবিএক্স ৪x৪ (দাম প্রায় ৪ লাখ ইউরো)। তবে হলান্ডের সেরা সংগ্রহটি হচ্ছে বুগাতি ট্যুরবিলন। দুনিয়ার সেরা প্রযুক্তিতে তৈরি এই গাড়ির দাম ৫০ লাখ ইউরোরও বেশি।

আরও পড়ুন

বিশেষ মডেলের এই গাড়িটির মাত্র ২৫০ ইউনিট তৈরি করা হয়েছে। এই গাড়িটিকে বিবেচনা করা হয় আধুনিক গাড়ি প্রযুক্তির এক অনন্য শিল্পকর্ম হিসেবে। ১ হাজার ৮০০ অশ্বশক্তির হাইব্রিড ভি১৬ ইঞ্জিনের এই বুগাতি ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিতে পৌঁছায় মাত্র ২ সেকেন্ডে, আর ২০০ কিলোমিটার গতি ছুঁতে গাড়িটির লাগে মাত্র ৫ সেকেন্ড।

গাড়ির পাশাপাশি হলান্ডের চোখ এখন নতুন মৌসুমেও। গত মৌসুমে সিটি কিছু জিততে না পারায় এবার প্রত্যাশার বেশ চাপ তাঁর ওপর। এখন সংগ্রহে থাকা গাড়ির মতো নিজের মাঠে নিজের ইঞ্জিনকে ক্ষুরধার ও গতিময় রাখতে পারলে, তা ম্যান সিটিকে নতুন মৌসুমে আশার বার্তাই শোনাবে। আগামীকাল শনিবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে উলভসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে হলান্ডের দল ম্যান সিটি।