এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ
চ্যালেঞ্জে হেরে বিদায় আবাহনীর
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্রিলিমিনারি প্লে-অফ রাউন্ডে কিরগিজস্তানের ক্লাব মুরাস ইউনাইটেডের কাছে ২-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশে আবাহনী লিমিটেড।
আবাহনী ০: ২ মুরাস
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের এক ম্যাচের চ্যালেঞ্জই জিততে পারল না আবাহনী লিমিটেড। আজ জাতীয় স্টেডিয়ামে প্লে-অফ রাউন্ডে কিরগিজস্তানের ক্লাব মুরাস ইউনাইটেডের কাছে ২-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে আকাশি–নীলরা।
ম্যাচের পর মুরাসের জয়ের নায়ক আতায় ঝুমাশেভের উচ্ছ্বাস, ‘প্রথমার্ধে আমরা সেভাবে খেলতে পারিনি, তবে দ্বিতীয়ার্ধে ছন্দ ফিরে পাই। দ্রুত গোলও পেয়ে যাই। সব মিলিয়ে বেশ উপভোগ্য ম্যাচ ছিল।’ অন্যদিকে হারের কারণ হিসেবে আবাহনী কোচ মারুফুল হক বলেছেন দুই দলের শক্তিমত্তার পার্থক্যের কথা, ‘মুরাসকে অভিনন্দন, যোগ্য দল হিসেবেই তারা জিতেছে। আমাদের প্রথমার্ধটা ভালোই ছিল, কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সেই চেষ্টাটা আমি দেখিনি। দলের গভীরতা তেমন ছিল না। কামরুলকে আগেই পরিবর্তন করার দরকার ছিল, কিন্তু পারিনি।’
এর আগে পাঁচবার চ্যালেঞ্জ লিগে খেলেছে আবাহনী। কোনোবারই গ্রুপ পর্ব পেরোতে পারেনি। আজ তো প্রথমার্ধেই একের পর এক সুযোগ নষ্ট হয়েছে। প্রথম ২০ মিনিট আক্রমণ ঠেকিয়ে পার করার পর বাকি সময় কয়েকটি সুযোগও তৈরি করেছিল। কোনো আক্রমণই সাফল্যের মুখ দেখেনি। কোনোটি মাঝমাঠ থেকেই ভেস্তে গেছে, কোনোটি মুরাসের রক্ষণে আটকে পড়েছে।
আবাহনীর গোলরক্ষক মিতুল মারমা আর ডিফেন্ডারদের প্রশংসা করতেই হয়। প্রথম ৪৫ মিনিটে তিনটি দুর্দান্ত সেভ ছিল মিতুলের। ডিফেন্ডাররাও দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন। প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের আটটি গোছানো আক্রমণ নস্যাৎ করে দেন ইয়াসিন-মুরাদরা, তবে দ্বিতীয়ার্ধে আর মুরাসকে আটকে রাখা যায়নি। ৪৮ মিনিটে বাঁ প্রান্ত ধরে আক্রমণে ওঠে খানিকটা জায়গা করে লম্বা ক্রস দেন মুরাসের ইউক্রেনিয়ান ডিফেন্ডার অ্যান্ড্রি বাতসুলা। আবাহনীর গোলমুখে অনেকটা আনমার্কিং আতায় ঝুমাশেভ সেই ক্রস থেকে নিখুঁত হেডে বল জালে জড়ান।
এক গোলে পিছিয়ে পড়ে আবাহনী ম্যাচে ফেরার সুযোগ খুঁজতে থাকলেও মুরাস তখন সতর্ক। ৭২ মিনিটে আবাহনীর একমাত্র বিদেশি খেলোয়াড় সুলেমান দিয়াবাতের বাড়ানো বল ডি-বক্সে থেকে শট নিলেও পোস্টে রাখতে পারেননি শেখ মোরছালিন। ৭৪ মিনিটে বদলি হয়ে নামা জাফর ইকবালের দূরপাল্লার শট চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে।
শেষ ২০ মিনিট নিজেদের অর্ধ ঠিক রেখে পাল্টা আক্রমণে বারবার আবাহনীর বুক কাঁপিয়েছে কিরগিজ ক্লাবটি। যোগ করা সময়ে আবাহনীর ডিফেন্ডার কামরুলের কাছ থেকে ছোঁ মেরে বল নিয়ে যান মুরাসের ঝুমাশেভ। চোখের পলকে স্কোরলাইন ২-০ করে নেন এই মিডফিল্ডার।
টুর্নামেন্টের প্লে-অফে জয়ী ৯ দল খেলবে সরাসরি গ্রুপ পর্বে জায়গা করে নেওয়া ১১ দলের সঙ্গে। আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে আগামী বছরের ৯ মে পর্যন্ত হবে টুর্নামেন্টের মূল পর্ব। ২০০৫ সাল থেকে হয়ে আসা এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাজিকিস্তানের ক্লাব রেগার-তাদাজ তুরসুনজোদা। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তুর্কমেনিস্তানের এফকে আরকাদাগ।