যে কারণে মালদিনিকে বরখাস্ত করেছে মিলান

পাওলো মালদিনিছবি: রয়টার্স

পাওলো মালদিনি ও এসি মিলান যেন অবিচ্ছেদ্য দুটি নাম। মালদিনির নাম উচ্চারণ করলে অনেকটা অবধারিতভাবে চলে আসে মিলানের কথাও। ১৯৮৪ সালে মিলানের বয়সভিত্তিক দলে খেলে ফুটবলের পথে যাত্রা শুরু করেন এই কিংবদন্তি। এরপর ২০০৯ সালে অবসর নেওয়ার আগে ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় ধরে মিলানেই খেলেছেন।

খেলোয়াড়ি–জীবনকে বিদায় জানালেও মিলানকে ছাড়তে পারেননি মালদিনি। ২০১৮ সালে আবার তিনি মিলানে ফিরে আসেন। যদিও এবারের ফেরাটা হয়েছে অন্য ভূমিকায়। শুরু হয় ক্রীড়া কৌশল ও উন্নয়ন পরিচালক হিসেবে মালদিনির নতুন পথচলা। ২০১৯ সালে পদোন্নতির ফলে যাত্রা শুরু করেন কারিগারি পরিচালক হিসেবে ২০২১-২২ মৌসুমে মিলানের লিগ শিরোপা জয়েও দারুণ ভূমিকা রাখেন। তবে মিলান-মালদিনির সম্পর্কটা শেষ পর্যন্ত ভেঙেই গেল। বরখাস্ত হলেন মিলানের ঘরের ছেলে।

আরও পড়ুন

কিন্তু দুঃসময় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর পথে থাকা মিলানের এমন কী হলো যে মালদিনিকে শেষ ছাঁটাই হতে হলো? ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম কালসিওমেরকাতো বলেছে, মিলান নিজেদের ক্লাবে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে, যার অংশ হিসেবে ছাঁটাই হলেন মালদিনি। জানা গেছে, গতকাল ক্লাব পরিচালক ও মালিকদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

মালদিনি ও মাসারার দায়িত্ব ছিল দলবদল এবং চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে দর–কষাকষির তদারক করা। কিন্তু নতুন খেলোয়াড় দলে টানার কৌশল এবং খেলোয়াড়দের ওপর বিনিয়োগ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক, যার ফলে ছাঁটাই হতে হলো মালিদিনিকে। এ ছাড়া মিলানের প্রধান নির্বাহী গিওর্গিও ফুরলানি পর্তুগিজ তারকা রাফায়েল লিয়াওকে দলে টানার ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেন। এখন নতুন করে চুক্তি নবায়নের পথেও আছেন লিয়াও। ধারণা করা হচ্ছে, এ বিষয়টি নিয়ে মালদিনি ও ফুরলানির মধ্যে তৈরি হওয়া ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কারণেই মিলান ছাড়তে হচ্ছে মালিদিনিকে।

মিলানে খেলেই কিংবদন্তি হয়েছেন পাওলো মালদিনি
ফাইল ছবি

এর আগে ২০১৯ সালে ফুরলানি ও প্রধান নির্বাহী ইভান গাজিদিস চেয়েছিলেন ক্লাবের নতুন কোচ হয়ে আসুক রালফ রাংনিক। তবে মালদিনি ও সাবেক প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা বনিমির বোবান এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। যে কারণ রাংনিকের আর মিলানের কোচের দায়িত্ব নেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন

এদিকে মালদিনির বিদায়ে সমর্থকদের অনেকেই নিজেদের হতাশার কথা জানিয়েছেন। তাঁর বিদায়ে এখন বড় দায়িত্ব পালন করতে হবে ফুরলানি ও প্রধান অনুসন্ধানী কর্মকর্তা জিওফ্রে মোনকাদাকে।