অস্ত্রোপচার লাগছে না পগবার

বিশ্বকাপ না খেলার শঙ্কায় ছিলেন পল পগবাএএফপি ফাইল ছবি

বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন পল পগবা? জুভেন্টাসের ফরাসি মিডফিল্ডার প্রাক্‌-মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচে চোট পাওয়ার পর এই প্রশ্নটাই সবার আগে শোনা গিয়েছিল। চোট গুরুতর, অস্ত্রোপচার করানো লাগতে পারে। আর অস্ত্রোপচার করালে নভেম্বরে শুরু হওয়া বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা কম থাকবে। পগবার চোটের পর এমন কথাই ভেসে আসছিল চারদিক থেকে।

আপাতত একটা সুখবর আছে পগবার। অস্ত্রোপচারের টেবিলে যেতে হচ্ছে না তাঁকে। এরপরও অবশ্য মিনিসকাসের চোট থেকে সেরে উঠতে একটু সময়ই লাগবে পগবার। অন্তত ৫ সপ্তাহ তাঁকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে।

২০১১ সালে পগবা তাঁর পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়েই। পরের বছরই অবশ্য জুভেন্টাসে নাম লেখান তিনি। সেখান থেকে আবার ইউনাইটেডে ফেরেন ২০১৬ সালে। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ৬ বছরের ব্যর্থ অভিযান শেষে পগবা আবার জুভেন্টাসে ফেরেন এ মৌসুমে।

৬ বছর পর জুভেন্টাসে ফিরেছেন পগবা
এএফপি ফাইল ছবি

কিন্তু পুরোনো ক্লাবে ফিরলেও সিরি ‘আ’র শুরুতে মাঠে নামা হচ্ছে না পগবার। পগবা অবশ্য সান্ত্বনা খুঁজতে পারেন এই ভেবে যে সিরি ‘আ’র প্রথম দিকে থাকতে না পারলেও বিশ্বকাপ তো আর মিস হচ্ছে না!

এর আগে জুভেন্টাসে চার মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৭৮টি ম্যাচ খেলেছেন পল পগবা। ৩৪টি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৪০টি গোল। জুভেন্টাসে প্রথম মেয়াদটা খুব দারুণ কেটেছে পগবার। সেই সময় চারটি সিরি ‘আ’সহ জুভেন্টাসের হয়ে মোট ৮টি শিরোপা জিতেছেন এই ফরাসি মিডফিল্ডার।

তবে ইউনাইটেড পগবা ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। ২০১৬ থেকে ২০২২—এই ছয় বছরে ইউনাইটেডের হয়ে ২২৬ ম্যাচ খেলে ৩৯টি গোল করার পাশাপাশি গোলে সহায়তা করেছেন ৫১টি। শিরোপা বলতে জিতেছেন একটি ইউরোপা লিগ ও একটি ইএফএল কাপ।

আরও পড়ুন