কানাডাকে হারিয়ে ৩৬ বছর পর দ্বিতীয় রাউন্ডে মরক্কো

দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছে গেল মরক্কোছবি: রয়টার্স

কানাডার বিপক্ষে জয় বা ড্র হলেই বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সমীকরণ ছিল মরক্কোর সামনে। শেষ পর্যন্ত কানাডাকে ২-১ গোলে হারিয়ে ‘এফ’ গ্রুপে শীর্ষে থেকেই ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছে গেছেন আশরাফ হাকিমিরা। দ্বিতীয়বারের মতো মরক্কো পেয়েছে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট।

অন্যদিকে দারুণ ছন্দ নিয়ে টুর্নামেন্টে আসা জন হার্ডম্যানের কানাডা গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই হারল। শেষ ম্যাচে মরক্কোর বিপক্ষে সান্ত্বনার জয়টাও পেল না।

মাঠে নামার আগেও অতীত ইতিহাসেও এগিয়ে ছিল মরক্কো। আগের তিন দেখায় দুবারই জিতেছে আটলাস লায়নসরা। বাকি ম্যাচটি ড্র হয়।

আরও পড়ুন

কানাডাকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে মরক্কো কতটা মরিয়া ছিল, তা মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুইয়ের কথা শুনলেই ধারণা পাওয়া যায়। তিনি বলেছিলেন, ‘এই ম্যাচের জন্য ফুটবলাররা জীবন দিতেও প্রস্তুত।’ কোচের কথার মান রাখতেই কি না, মাঠে মরক্কোর ফুটবলারদের যুদ্ধংদেহী মনোভাব দেখা গেছে বেশি।

তৃতীয় মিনিটেই কানাডার গোলরক্ষক মিলান বোরিয়ান বড় ভুল করে বসেন। সেই ভুলের সুযোগ নিতে ভুল করেননি হাকিম জিয়েশ। বক্সের সামনে বল পেয়ে গোলরক্ষকের মাথার ওপর থেকেই বল জালে জড়ান এই মিডফিল্ডার।

বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটিই মরক্কোর সবচেয়ে দ্রুততম গোল। প্রথম গোলের পর ম্যাচের আট মিনিটে বক্সের সামনে ফ্রি–কিক পেয়ে যায় মরক্কো। প্রথম গোল পাওয়ার পর রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলতে পারত মরক্কো,তবে সে পথে না হেঁটে টানা আক্রমণ চালিয়ে গেছে তারা। যার ফল মরক্কো পায় ২৩ মিনিটে। আশরাফ হাকিমির লম্বা পাস কাজে লাগিয়ে ব্যবধান ২-০ করেন ইউসেফ এন-নেসরি।

দারুণ খেলতে থাকা মরক্কো ৩৯ মিনিটে ভুল করে বসে। নায়েফ আগুয়ের্দের আত্মঘাতী গোলে লা রুজরা ম্যাচে ফেরার সুযোগ পেয়ে যায়। এবারের বিশ্বকাপে এটিই প্রথম আত্মঘাতী গোল। এটিই কাতার বিশ্বকাপের শততম গোলও।

বিরতি থেকে ফিরে অনেকটাই ছন্দ খুঁজে পায় হার্ডম্যানের দল। ম্যাচে প্রথমবারের মতো ধারাবাহিকভাবে বল নিজেদের দখলে রাখে তারা। ৫৮ মিনিটে গোল পেয়েও যেতে পারত কানাডা। জুনিয়র হইলেটের ক্রস কাজে লাগাতে পারেননি আলফোনসো ডেভিস। অবশ্য পুরো ম্যাচেই নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন এই কানাডিয়ান তারকা।

গোলরক্ষক মিলান বোরিয়ানের ভুলে গোল হজম করে কানাডা
ছবি: রয়টার্স

প্রথমার্ধে একের পর এক আক্রমণে ওঠা মরক্কো দ্বিতীয়ার্ধে ব্যস্ত ছিল কানাডার আক্রমণ সামলাতে। ৬৯ মিনিটে গোলের খুব কাছে গিয়েও সমতা ফেরাতে পারেনি কানাডা। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে আতিবা হাচিনসনের হেড ক্রসবারে লেগেছে। সে যাত্রায় বেঁচে যাওয়া মরক্কো পাল্টা আক্রমণে ওঠে ৭৯ মিনিটে। তবে আবদেররাজাক হামাদাল্লা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি।

আরও পড়ুন