সাবিনা–সানজিদাদের বেতন ফিফার অনুদানে

বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন (ডানে) ও মিডফিল্ডার সানজিদা আক্তারইনস্টাগ্রাম

নারী ফুটবলারদের বেতনের টাকা জোগাড়ে আর পৃষ্ঠপোষকের দ্বারস্থ হতে হবে না বাফুফেকে। টাকা না পেলে বেতনও ঝুলে যাবে না। বেতন বকেয়া পড়ার শঙ্কাও কমে এসেছে। মেয়েদের বেতনের স্থায়ী ব্যবস্থা করেছে বাফুফে। বলা ভালো, ফিফাই সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছে। ফিফা জানিয়েছে, বাফুফেকে দেওয়া ফিফার বার্ষিক অনুদান থেকে মেয়েদের বেতন দেওয়া যাবে, যেটা আগে দেওয়া যেত না।

এ প্রসঙ্গে বাফুফের নারী কমিটির প্রধান মাহফুজা আক্তার কাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেয়েদের বেতনের টাকার জন্য আমরা ফিফাকে অনুরোধ করে চিঠি লিখেছিলাম। ফিফা বলেছে, বাফুফেকে তারা যে অনুদান দেয়, সেখান থেকে মেয়েদের বেতন দেওয়া যাবে। আগে আমরা ফিফার অনুদান থেকে মেয়েদের বেতন দিতে পারতাম না। অন্যভাবে জোগাড় করতে হতো। অনুদান থেকে সেটা দিতে পারা মানে আমাদের একটা সমস্যার সমাধান হলো।’

আরও পড়ুন

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথমবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকেই বেতনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সদস্যরা। এত দিন আর্থিক সংকটের কারণ দেখিয়ে সেই দাবি পূরণ করেনি বাফুফে। এর মধ্যে বেতনের দাবি তুলে মেয়েরা অনুশীলনও বর্জন করেছিলেন। পরে নারী ফুটবলারদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে শীর্ষ পর্যায়ের ৩১ ফুটবলারের সঙ্গে গত বছরের ১৬ আগস্ট চুক্তি করে বাফুফে। চুক্তির মেয়াদ ছিল ৬ মাস, যা কার্যকর হয় গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে।

গত মাসে সেই চুক্তি শেষ হয়েছে। এখন আবার খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করে নতুন চুক্তি করা হবে। নতুন চুক্তিতে খেলোয়াড়ের সংখ্যা হতে পারে ৩৪-৩৫ জন। তবে টাকার অঙ্ক আগের মতোই থাকার সম্ভাবনা বেশি।

সানজিদা–সাবিনাদের মুখের এই হাসি অম্লান থাকুক
ফেসবুক

আগের চুক্তিতে জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনসহ ১৫ ফুটবলার মাসে পেয়েছেন ৫০ হাজার টাকা করে। ১০ জন ৩০ হাজার টাকা করে, ৪ জন ২০ হাজার ও ২ জনের বেতন ছিল ১৮ হাজার টাকা করে। সব মিলিয়ে বেতনের অঙ্ক ছিল মাসে ১১ লাখ টাকার কিছু বেশি।

আরও পড়ুন

তবে মেয়েরা সময়মতো বেতন পেতেন না। এ বছরও যেমন এখন পর্যন্ত বেতন দেওয়া হয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসের। ফিফার অনুদান থেকে বেতন দেওয়া যাবে বলে এখন আর মেয়েদের বেতন বকেয়া থাকবে না বলে আশা বাফুফের।