৫ গোলের রোমাঞ্চে আবাহনীকে হারাল মোহামেডান
আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ মানেই বাড়তি রোমাঞ্চ। বাংলাদেশ ফুটবল লিগে আজ মৌসুমের প্রথম দ্বৈরথেও ছড়িয়েছে সেই রোমাঞ্চ। প্রথমার্ধে ২ গোলে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে আরও একবার আবাহনীর জালে বল পাঠায় মোহামেডান। তিন গোলে পিছিয়ে পড়েও ২ গোল দিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে আবাহনীও। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা ৩-২ গোলে জিতে নেয় লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান।
চলতি মৌসুমে এটাই মোহামেডানের প্রথম জয়। আগের দুই ম্যাচে একটিতে হার, আরেকটি ড্র করে সাদা-কালোরা। আবাহনী এ নিয়ে তিন ম্যাচ খেলে দুটিতে হারল, অন্য ম্যাচটি ড্র হয়েছে।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ স্টেডিয়ামে ম্যাচের ২০ মিনিটে রহিম উদ্দিনের গোলে এগিয়ে যায় মোহামেডান। ৩২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইমানুয়েল কেকে। মোজাফফর মোজাফফরভের কর্নার থেকে উড়ে আসা বল আবাহনীর জালে ঠেলে উদ্যাপনে মাতেন কেকে।
প্রথম গোল হজমটি রীতিমতো অবাক করেছে আবাহনীর সমর্থকদের। নিজেদের অর্ধ থেকে লম্বা পাসে বল সামনে বাড়ান মোজাফফর মোজাফফরভ। তাঁর পাস ধরে রক্ষণ ভাঙার চেষ্টা করেও পারেননি স্যামুয়েল বোয়াটেং। বলের দখল হারান তিনি।
কিন্তু হুট করেই পেছন থেকে এসে বলটা দখলে নেন মোহামেডানের রহিম উদ্দিন। আবাহনীর গোলপোস্টও তখন পুরোপুরি অরক্ষিত। মিতুল মারমা পোস্টের এক পাশে দাঁড়িয়ে। তাকে কোনো সুযোগই দেননি রহিম। সহজেই বলটা জালে জড়ান এই ফরোয়ার্ড।
বিরতির পর ৫৮ মিনিটে জাহিদ হাসানের ক্রস থেকে দারুণ হেডে আবাহনীর জাল কাঁপান বোয়াটেং। ৭২ মিনিটে ১ গোল শোধ করে ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় আবাহনী। মাঝমাঠ থেকে বল টেনে বক্সের বাইরে থেকে সরাসরি শটে লক্ষ্য ভেদ করেন পাপন সিং।
৭৮ মিনিটে আল-আমিনের ক্রস মোহামেডানের রক্ষণদেয়ালে লেগে দিক পাল্টায়, সেই বল পেয়েই গোলটা আদায় করে নেন শেখ মোরছালিন। স্কোরলাইন ৩-২ হওয়ার পর লড়াইটা আরও জমে ওঠে। শেষ দিকে কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও আর গোল পায়নি আবাহনী।
গত মৌসুমে লিগে দুবারের দেখায় একবার জিতেছিল মোহামেডান, আরেকবার হয়েছে গোলশূন্য ড্র।
দিনের আরেক ম্যাচে মানিকগঞ্জের শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে ২-০ গোলে হারিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। একইদিন ফর্টিস এফসির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে পুলিশ এফসি। অন্য ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে ফকিরেরপুল ইয়ং মেন্স ক্লাব।