মেসির পর পিকের চুক্তির তথ্যও ফাঁস, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি বার্সার

বার্সেলোনা তারকা জেরার্ড পিকেছবি: টুইটার

চুক্তি নবায়নের জন্য বড় অঙ্কের বোনাস, রিলিজ ক্লজের পরিমাণ ন্যুনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনা, কর্তিত বেতন সুদসহ ফেরত দেওয়া—বার্সেলোনায় চুক্তি নবায়ন করতে এমন সব শর্ত দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। ২০২০ সালের ঘটনাটি ফাঁস করে স্পেনের ক্লাব ফুটবলে রীতিমতো ঝড় তুলে দিয়েছে এল মুন্দো।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমটি এবার জেরার্ড পিকের চুক্তির তথ্যও ফাঁস করে দিয়েছে। যে তথ্য বলছে, বিশ্ব ফুটবলে ডিফেন্ডারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেতন দেওয়া হয় পিকেকে।

এভাবে একের পর এক চুক্তির তথ্য প্রকাশ্যে চলে আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে বার্সেলোনা। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দিয়েছে কাতালান ক্লাবটি।

আরও পড়ুন

এল মুন্দো মেসি ও পিকের চুক্তির তথ্যগুলো প্রকাশ করেছে ‘বার্সা লিকস, দ্য ক্লাব’স সিক্রেট ফাইলস’ শিরোনামে।

পিকের আলোচিত চুক্তিটি করা হয় ২০১৭ সালে, মেসির সঙ্গে বার্সার চার বছরের চুক্তি নবায়নের পরের মাসে। চুক্তিতে পিকেকে পরবর্তী ৫ মৌসুমে ১৪২ মিলিয়ন ইউরো (বোনাস, করসহ) আয়ের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়।

এ–বিষয়ক বিস্তারিত তথ্যে বলা হয়, ওই সময় পিকে বার্সেলোনার প্রেসিডেন্ট জোসেফ বার্তামেউকে বলেছিলেন, প্রতি মৌসুমে বোনাস ও কর বাদ দিয়ে তাঁর আয় যেন ১৫ মিলিয়নের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, যাতে তিনি সার্জিও রামোসকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া সেন্টার ব্যাক হতে পারেন।

রিয়াল মাদ্রিদে থাকা রামোস তখন সাড়ে ১২ মিলিয়ন ইউরো পেতেন। তবে বার্তামেউ তাঁকে ১২ মিলিয়নের নিশ্চয়তা দেন।

খেলোয়াড়দের সঙ্গে চুক্তির আর্থিক তথ্যকে সব সময়ই গোপনীয় বিষয় হিসেবে দেখে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। অনেক ক্ষেত্রে চুক্তির মেয়াদও প্রকাশ করা হয় না।

আরও পড়ুন

কিন্তু পিকের চুক্তির ক্ষেত্রে টাকার অঙ্কের পাশাপাশি বোর্ড প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কী কথা হয়েছিল, পাশাপাশি ২০২০ সালে মেসির সঙ্গে যে চুক্তি হয়নি, সেই চুক্তি ঘিরে চালাচালি হওয়া আলাপও প্রকাশ্যে চলে আসায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ।

পরপর দুটি চুক্তির তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিষয়টিকে ক্লাবের গোপনীয়তার লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে বার্সেলোনা।

বুধবার এ নিয়ে একটি বিবৃতিতে আইনি পদক্ষেপের হুমকি দেওয়া হয়েছে ক্লাবের পক্ষ থেকে, ‘আইনি প্রক্রিয়ার অংশ—এমন তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে বার্সেলোনা। ক্লাবের অধিকার সুরক্ষায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখছে বার্সেলোনার আইন বিভাগ।’

আরও পড়ুন