১০ বছর আগে যে ই–মেইল বদলে দিয়েছিল ইয়ামালের ভাগ্য

ইয়ামাল এখন ফুটবলের বর্তমানইনস্টাগ্রাম

লামিনে ইয়ামাল মাত্র ১৭ বছর বয়সেই ফুটবলের বর্তমান। যখনই মাঠে নামছেন, পায়ের ঝলকানিতে মন্ত্রমুগ্ধ করছেন সবাইকে। তাঁর পায়ে বল মানেই জাদুকরী কিছুর সম্ভাবনা। তবে বার্সেলোনা ও স্পেনের হয়ে তাঁর যাত্রাটা মাত্র শুরু হলো।

এখনো পাড়ি দেওয়া বাকি অনেক লম্বা পথ। তবে ইয়ামালের এই পথচলাটা ভিন্ন রকমও হতে পারত, যদি ১০ বছর আগে একটি ই–মেইল চালাচালির ঘটনা না ঘটত। হ্যাঁ, বলা যায় একটি ই–মেইল বার্তা বদলে দিয়েছে ইয়ামালের পথচলার গতিপথ।

২০১৫ সালে ইয়ামালের বয়স যখন সাত বছর, তখনই তিনি খেলা শুরু করেছিলেন লা তোরেতার হয়ে। এখানে খেলার সময় মূলত বার্সেলোনা অনূর্ধ্ব-১০ দলের সমন্বয়ক ও স্কাউট অস্কার হার্নান্দেজের নজরে পড়েন ইয়ামাল। বার্সার একই কর্মকর্তা বুঝতে পেরেছিলেন, ইয়ামালের মধ্যে দারুণ কিছু আছে। ফলে স্প্যানিশ শিশুটিকে দেখেই মনে ধরে যায় তাঁর। কিন্তু এরপরই বাঁধে বিপত্তি।

আরও পড়ুন

যে সময়ে ইয়ামালের খেলায় হার্নান্দেজ মুগ্ধ হচ্ছিলেন, তখনই তৈরি হয় স্প্যাানিশ শিশুটির এস্পানিওলে যাওয়ার সম্ভাবনা। লা তোরেতার সঙ্গে পারস্পরিক সমঝোতা চুক্তি সম্পাদনে অনেক দূর এগিয়েও গিয়েছিল বার্সার নগর প্রতিদ্বন্দ্বী। ফলে বার্সার সামনে অপেক্ষা করার আর কোনো সুযোগ ছিল না।

ব্যালন ডি’অরে কোপা ট্রফি জেতা ইয়ামাল
ইনস্টাগ্রাম

পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে পেরেই বার্সেলোনার একাডেমি ‘লা মাসিয়া’র সমন্বয়ক মার্ক সেরাকে তড়িঘড়ি করে একটি চিঠি দেন হার্নান্দেজ। সেই চিঠিতে ইয়ামালকে হারানোর বিষয়ে সেরাকে সতর্ক করেন হার্নান্দেজ। পাশাপাশি যা করার দ্রুততম সময়ের ভেতর করার পরামর্শ।

এই ই–মেইলই পরে বদলে দিয়েছিল ইয়ামালের ভবিষ্যৎ। মেইলটি পেয়েই দ্রুত ইয়ামালের ট্রায়ালের ব্যবস্থা কররে সেরা। এরপর বাকিটা তো ইতিহাস। এখন স্পেনের জয়ের নায়ক ইয়ামাল দেখছেন বার্সার হয়েও অর্জনের চূড়ায় ওঠার স্বপ্নও।

আরও পড়ুন

সম্প্রতি এক টুইচ চ্যানেলের সঙ্গে আলাপে ইয়ামালকে দলে টানার ঘটনা ব্যাখ্যা করে হার্নান্দেজ বলেছেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে আমাদের দ্রুত এগিয়ে যেতে হবে, কারণ লা তোরেতা এস্পানিওলের সঙ্গে চুক্তি প্রায় সেরেই ফেলেছিল। ফলে আমাদের কাজগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে। সকাল সাতটায় সে সিউদাদ দেপোর্তিভায় ট্রায়াল দিতে এল। পাঁচ মিনিট পরেই বুঝতে পারি, সে বার্সার খেলোয়াড় হতে যাচ্ছে।’