কেইনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রস্তুতি বায়ার্নের

টটনেহামের ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেইনছবি : টুইটার

হ্যারি কেইনকে দলে টানতে মরিয়া হয়েই মাঠে নেমেছে বায়ার্ন মিউনিখ। এরই মধ্যে তাঁকে দলে ভেড়াতে তিনবার প্রস্তাবও দিয়েছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। এমনকি কেইনের জন্য তারা নিজেদের ক্লাব রেকর্ডও ভাঙতে প্রস্তুত। কিন্তু এত কিছুর পরও টটেনহামের সম্মতি পাচ্ছে না বায়ার্ন।

এত দিন টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে চেষ্টা করলেও এবার একটু শক্ত অবস্থানই নিয়েছে বাভারিয়ান ক্লাবটি। কেইনের জন্য টটেনহামকে নাকি আলটিমেটামও দিয়েছিল বায়ার্ন। তবে এরই মধ্যে একাধিক সংবাদমাধ্যম বলছে, কেইনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতাল ও থাকার জন্য বাসাও ঠিক করে রেখেছে বায়ার্ন।

আরও পড়ুন

বায়ার্নের এই প্রস্তুতি কেইনকে দলের ভেড়ানোর পথে চূড়ান্ত পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত নিজেদের দিক থেকে কোনো মন্তব্য করেনি টটেনহাম। অন্যদিকে টটেনহামের সঙ্গে কেইনের এখনো এক বছরের চুক্তি বাকি আছে। তবে কেইন নিজেও নাকি আর টটেনহামে থাকতে চান না। এরই মধ্যে ব্যক্তিগত শর্তে বায়ার্নের সঙ্গে একমতও পোষণ করেছেন।

কেইনের গন্তব্য কোথায়
ছবি: রয়টার্স

এর আগে গত সপ্তাহে কেইনের ব্যাপারে আলাপ করতে বায়ার্নের নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ান-ক্রিস্টিয়ান ড্রেসেন ও মার্কো নেপ্পে লন্ডনে উড়ে যান। সেখানে টটেনহাম চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল লেভির সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল তাঁদের। ধারণা করা হচ্ছিল, সেই বৈঠকেই দুই পক্ষ একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে। কেইনের জন্য সে সময় ৮ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ডের প্রস্তাবের কথাও শোনা যায়, যা ছিল বায়ার্নের জন্য ক্লাব রেকর্ড। কিন্তু বৈঠকটি থেকেও আসেনি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত।

কেইনের জন্য শুরু থেকেই টটেনহামের চাওয়া ছিল ১০ কোটি পাউন্ড। ধারণা করা হচ্ছে, এর আশপাশে কোনো দামেই হয়তো তাঁকে বিক্রির ব্যাপারে রাজি হয়ে যাবে তারা। বায়ার্ন নিজেদের তৃতীয় প্রস্তাবে যে দাম বলেছে, সেটি অবশ্য লেভির চাওয়ার চেয়ে ১ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড কম।

আরও পড়ুন

বায়ার্ন কেইনের জন্য প্রথম প্রস্তাব দেয় গত জুনে। সে সময় ইংলিশ স্ট্রাইকারের জন্য ছয় কোটি পাউন্ডের প্রস্তাব দেয় ক্লাবটি। কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় টটেনহাম। দ্বিতীয়বার প্রস্তাব দেওয়ার সময় সেই দাম বেড়ে হয় ৬ কোটি ৮৬ লাখ পাউন্ডের মতো। সেই প্রস্তাবও ফিরিয়ে দেয় ইংলিশ ক্লাবটি। এর মধ্যে কেইনের ব্যাপারে পিএসজির আগ্রহের কথাও শোনা যাচ্ছে। এখন শেষ পর্যন্ত টটেনহাম কি সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই দেখার অপেক্ষা।