কিলিয়ান এমবাপ্পের পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসা নিয়ে খুব একটা আলোচনা নেই। গত দুই মৌসুমে এমবাপ্পের রিয়ালে আসা নিয়ে সরগরম ছিল দলবদলের বাজার। তবে গত মৌসুমে শেষ মুহূর্তে গিয়ে নিজের সিদ্ধান্ত বদলে এমবাপ্পে পিএসজির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করলে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে রিয়াল।

পরবর্তীকালে এমবাপ্পেকে কেনার পথ থেকে রিয়ালের সরে আসার কথাও জানায় ক্লাবটির সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। পাশাপাশি এবার লিওনেল মেসি ও নেইমারের প্যারিস ছাড়ার গুঞ্জনের ঠিক বিপরীতেই অবস্থান এমবাপ্পের।

আরও পড়ুন

পিএসজিতে অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে আবারও এমবাপ্পে–অভিযানে নামবে রিয়াল

ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এমবাপ্পে নাকি প্যারিসের ক্লাবটিতেই থাকতে চান। তবে এর মধ্যে এমবাপ্পের রিয়ালে আগমন নিয়ে মন্তব্য করে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন আতলেতিকো মাদ্রিদ কোচ ডিয়েগো সিমিওনে। বলেছেন, এখনো তিনি এমবাপ্পেকে রিয়ালে আসতে দেখছেন। কারণ, রিয়াল সব সময় সেরা খেলোয়াড়দেরই দলে ভেড়ায়।

এমবাপ্পে ও হলান্ড
ফাইল ছবি

এ মৌসুমে না এলেও আগামী মৌসুমের দলবদলে এমবাপ্পের রিয়ালে আসার সুযোগ ঠিকই থাকছে। ২০২৩–২৪ মৌসুম শেষে মুক্ত (ফ্রি এজেন্ট) হয়ে যাবেন এই ফরাসি তারকা। আর তখন তাঁর রিয়ালে আসার সম্ভাবনা আরও বাড়বে। এটা মাথায় রেখেই হয়তো তাঁর রিয়ালে আসার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন সিমিওনে। তিনি বলেছেন, ‘আমি এমবাপ্পেকে মাদ্রিদে আসতে দেখছি কি না? হ্যাঁ, রিয়াল সব সময় সেরা খেলোয়াড়দের দলে টানে। রিয়ালে এমবাপ্পে এবং বার্সেলোনায় মেসির ফেরা লা লিগার জন্য দারুণ ব্যাপার হবে।’

আরও পড়ুন

ট্রেবল জিততে সবই করবেন হলান্ড

এমবাপ্পের সঙ্গে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও আর্লিং হলান্ডের মধ্যে তুলনা করতে গিয়ে সিমিওনে আরও বলেছেন, ‘বর্তমানে যা করছে, সে বিবেচনায় ভিনিসিয়ুস ব্যালন ডি’অর জিততে পারে। সে অনেক উন্নতি করেছে। সে এমন খেলোয়াড়দের একজন, যারা ম্যাচ বদলে দিতে পারে। তবে এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়ুসের মধ্যে আমি শতভাগ এমবাপ্পেকেই বেছে নেব। আর হলান্ড ও এমবাপ্পের মধ্যেও আমি এমবাপ্পেকে বেছে নেব। অনন্যসাধারণ এই ছেলে সবকিছু খুব ভালোভাবে করে। এটা পাগলামো ছাড়া আর কিছু নয়।’

আতলেতিকো কোচ সিমিওনে
ছবি: এএফপি

সিমিওনে এ সময় কথা বলেছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে নিয়েও। আনচেলত্তিকে নিয়ে নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়ে আতলেতিকো কোচ বলেছেন, ‘আমি কোনো এক পর্যায়ে আনচেলত্তির সঙ্গে দেখা করতে চাই। আমি মনে করি, সে অসাধারণ একজন মানুষ। আমি তাকে ভালোবাসি। হয়তো আমরা একত্র হয়ে কিছু ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় নিয়ে কথা বলতে পারি, যারা আমার দলে থাকতে পারত (হাসি)।’

সিমিওনের অধীন আতলেতিকো দুবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে খেলেছে। কিন্তু দুবার নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে শিরোপাবঞ্চিত থাকতে হয়েছে আতলেতিকোকে। ২০১৪ সালের ফাইনালে ১–০ গোলে এগিয়ে থেকেও ৯৩ মিনিটে গোল খেয়ে বসে আতলেতিকো।

আরও পড়ুন

দর্শকের প্রতি এমবাপ্পের দায়িত্ববোধে আপ্লুত ভক্তরা

পরে ম্যাচটা হেরে শিরোপাও হাতছাড়া করে সিমিওনের দল। কোচ হিসেবে নিজের সবচেয়ে বড় ভুল কোনটা, জানতে চাইলে সিমিওনে সেই ম্যাচের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘লিসবনের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে আদ্রিয়ানের পরিবর্তে রাউল গার্সিয়াকে সাবস্টিটিউট করা।’