তুরিনে ৪৪ মিনিটেই ৮ গোল, জুভেন্টাস ৪–৪ ডর্টমুন্ড

তুরিনে জুভেন্টাস ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ড মিলে যেন রূপকথার জন্ম দিয়েছেছবি: এক্স

ম্যাচের ফল তো শিরোনামেই দেখা যাচ্ছে। তা এমন রোমঞ্চকর ড্র কীভাবে হলো, সেটাও এক ঝলক দেখে নিন—

৫২'—জুভেন্টাস ০: ১ ডর্টমুন্ড

৬৪'—জুভেন্টাস ১: ১ ডর্টমুন্ড

৬৫'—জুভেন্টাস ১: ২ ডর্টমুন্ড

৬৭'—জুভেন্টাস ২: ২ ডর্টমুন্ড

৭৫'—জুভেন্টাস ২: ৩ ডর্টমুন্ড

৮৬'—জুভেন্টাস ২: ৪ ডর্টমুন্ড

৯০‍+৪'—জুভেন্টাস ৩: ৪ ডর্টমুন্ড

৯০‍+৬'—জুভেন্টাস ৪: ৪ ডর্টমুন্ড

যেন নতুন এক রূপকথার জন্ম দিল জুভেন্টাস ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। মাত্র ৪৪ মিনিটের মধ্যে হয়েছে ৮ গোল; সবকটিই দ্বিতীয়ার্ধে। চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে এর আগে কোনো ম্যাচে বিরতির পর এত গোল হয়নি।

বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ভেবেছিল তারা জিততে চলেছে
ছবি: এক্স

অথচ প্রথমার্ধ গোলবন্ধ্যাত্বে কাটার পর কজন ভেবেছিলেন, জুভদের মাঠ আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়াম দ্বিতীয়ার্ধে এমন রোমাঞ্চের জন্ম দিতে যাচ্ছে!

৫২ মিনিটে করিম আদেইয়েমির গোলে এগিয়ে যায় জার্মান ক্লাব ডর্টমুন্ড। ৬৪ মিনিটে সমতা ফেরান জুভেন্টাসের কেনান ইলদিজ।

গোলের নেশা দুই দলকে তখন থেকেই পেয়ে বসে। এরপর ২ মিনিটের ব্যবধানে আবারও দুই গোল। ৬৫ মিনিটে ফেলিক্স এনমেচার গোলে ডর্টমুন্ড আরেক দফা এগিয়ে যাওয়ার পর ৬৭ মিনিটে দুসান ভ্লাহোভিচের গোলে আবারও সমতায় জুভেন্টাস।

আরও পড়ুন

তবে ৭৪ মিনিটে ইয়ান কৌতো ও ৮৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে রামি বেনসেবাইনির গোলে ডর্টুমন্ড ৪–২ গোলে এগিয়ে গেলে মনে হচ্ছিল জুভেন্টাসের পক্ষে আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব নয়।

কিন্তু তুরিনের বুড়িরা এখান থেকেই অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে ভ্লাহোভিচ ও ষষ্ঠ মিনিটে লয়েড কেলি গোল করলে পিনপতন নীরবতা নেমে আসা আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে আবারও প্রাণের সঞ্চার হয়।

শেষ মুহূর্তের গোলে হার এড়ানোর পর জুভেন্টাস খেলোয়াড়দের বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস
ছবি: এক্স

২০১৬ সালের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও হার এড়াল জুভেন্টাস। ম্যাচটা চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোলের ড্রয়ের তালিকাতেও যৌথভাবে শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে।

আরও পড়ুন

এর আগে ২০০০ সালে হামবুর্গ–জুভেন্টাস, ২০০৯ সালে চেলসি–লিভারপুল, ২০১৫ সালে বায়ার লেভারকুসেন–এএস রোমা এবং ২০১৯ সালে চেলসি–আয়াক্স ম্যাচও ৪–৪ সমতায় শেষ হয়েছিল।