রিয়াল মাদ্রিদ ২–১ অলিম্পিক মার্শেই
৭ ম্যাচে ৮ গোল, ২ অ্যাসিস্ট—চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ ও ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পের পারফরম্যান্স। পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, তিনি কতটা দুর্দান্ত ছন্দে আছেন।
এর চেয়েও বড় ব্যাপার, এমবাপ্পের বেশিরভাগ গোলে অবদান ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে। ব্যবধান গড়ে দিল আজও। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এমবাপ্পের জোড়া গোলে পিছিয়ে পড়েও অলিম্পিক মার্শেইকে ২–১ ব্যবধানে হারাল রিয়াল। স্বদেশি ক্লাবকে হতাশায় ডোবাতে ফরাসি তারকা দুটি গোলই করেছেন পেনাল্টি থেকে।
ম্যাচের ৮১ মিনিটে জয়সূচক গোলটা আবার রিয়ালের জার্সিতে এমবাপ্পের ৫০তম। লস ব্লাঙ্কোসের হয়ে নিজেদের ৬৪ ম্যাচ খেলতে নেমে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি, যা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর দ্রুততম। ২০১০ সালের নভেম্বর রোনালদো রিয়ালের হয়ে ৫০তম গোল করেছিলেন নিজের ৫৪তম ম্যাচে।
১৯৯২–৯৩ মৌসুমে ইউরোপিয়ান কাপ থেকে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ নামকরণ করার পর এই প্রতিযোগিতায় এ নিয়ে ২০০তম জয় পেল রিয়াল, আর ওই সময় থেকে গোল করল ৭০০টি। এই দুটি মাইলফলক ছোঁয়ার ক্ষেত্রে মাদ্রিদের ক্লাবটিই প্রথম।
অথচ ৭২ মিনিটে নিজের তো বটেই; দলেরও সর্বনাশ ডেকে আনেন দানি কারভাহাল। মেজাজ হারিয়ে মার্শেইয়ের আর্জেন্টাইন গোলকিপার হেরোনিমো রুয়িকে মাথা দিয়ে সজোরে আঘাত করেন। রুয়ি সঙ্গে সঙ্গে মাঠে লুটিয়ে পড়লে রিয়াল অধিনায়ক কারভাহালকে লাল কার্ড দেখান বসনিয়ান রেফারি ইরফান পেলিতো।
১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার পর রিয়াল বেশ চাপে পড়ে যায়। কিন্তু পেনাল্টির সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করে রিয়াল সমর্থকদের আনন্দে ভাসান এমবাপ্পে। অবশ্য এই পেনাল্টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কের ঝড় বইয়ে যাচ্ছে।
এ ম্যাচ দিয়েই চ্যাম্পিয়নস লিগে অভিষেক হলো ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনোর। রিয়ালের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার (১৮ বছর ৩৩ দিন) হিসেবে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ এই প্রতিযোগিতায় খেলার কীর্তি গড়লেন আর্জেন্টিনার এই মিডফিল্ডার। ছাড়িয়ে গেলেন ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড এনদ্রিককে (১৮ বছর ৭৩ দিন)।