সিলভা প্রথম রাতে ঘুমাতে পারেননি, দ্বিতীয় রাতে একটু পেরেছেন, তৃতীয় রাতে...

টাইব্রেকারে গোল করতে ব্যর্থ হন বের্নার্দো সিলভা। গত বুধবার রাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামেএএফপি

চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল ফিরতি লেগ টাইব্রেকারের মঞ্চ। সেখানে করলেন পেনাল্টি মিস। এরপর টাইব্রেকারে হারে বিদায় নিল দল, তখন কেমন লাগে? জিজ্ঞেস করতে পারেন ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার বের্নার্দো সিলভাকে। পর্তুগিজ তারকা বলেছেন, টাইব্রেকারে সেই মিসের পর প্রথম রাতে তেমন ঘুমাতে পারেননি। দ্বিতীয় রাতে একটু ঘুম হয়েছে এবং তৃতীয় রাতে প্রায় পুরো সময়ই তিনি ঘুমাতে পেরেছেন।

আরও পড়ুন

সিটি সমর্থকদের এই হারের ক্ষতটা বেশি দিন আগের নয়। গত বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল ফিরতি লেগে ঘরের মাঠ ইতিহাদে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ১–১ গোলে ড্র করে সিটি। দুই লেগ মিলিয়ে অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত ম্যাচ ৪–৪ ব্যবধানে সমতায় থাকার পর খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সিটি সেখানে ৪–৩ ব্যবধানের হারে বিদায় নেয় চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে। টাইব্রেকারে সিটির সিলভা ও মাতেও কোভাচিচের শট রুখে দেন রিয়াল গোলকিপার আন্দ্রি লুনিন। সিলভার শটটির সমালোচনাও হয়েছে। লুনিনের প্রায় সরাসরি শট নিয়েছিলেন সিলভা। সহজেই বলটি ঠেকান রিয়ালের ইউক্রেনীয় গোলকিপার।

লুনিনের প্রায় সরাসরি শট নিয়েছিলেন সিলভা
এএফপি

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এরপর কথা বলেছে সিলভার সঙ্গে। টাইব্রেকার মিস হজম করাটা তাঁর জন্য কতটা কঠিন ছিল, সেটাই জানতে চেয়েছিল এই সংবাদমাধ্যম। সিলভা বলেছেন, ‘আবেগের জায়গা থেকে বলতে পারি, এটাই আমাদের কাজ, এটাই ফুটবল। হ্যাঁ, এটা কঠিন ছিল। প্রথম রাতে সেভাবে ঘুমাতে পারিনি। দ্বিতীয় রাতে একটু ঘুম হয়েছে। তৃতীয় রাতে প্রায় পুরো সময়ই ঘুমিয়েছি। তবে এটাই বাস্তবতা, এটাই ফুটবল, এটাই আমাদের পেশা। আর আমাদের এসব আবেগপূর্ণ ব্যাপারের মুখোমুখি হতেই হয়।’

আরও পড়ুন

সিলভা কেন গোলকিপারের দাঁড়ানোর জায়গা সোজাসুজি শট নিলেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, ‘দুটো পথ খোলা ছিল। দুটি পোস্টের যেকোনো একদিকে, যা আমি বলব না এবং আরেকটি হলো মাঝবরাবর শট নেওয়া। অপেক্ষায় ছিলাম। দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় শটটি নিতে চেয়েছিলাম, আগের একটি–দুটি শটে গোলকিপারের প্রতিক্রিয়া কী ছিল, সেটা বুঝতে চেয়েছিলাম। সে (লুনিন) একটু আগেভাগেই নড়াচড়া করেছে। সে জন্য ভেবেছিলাম, মাঝবরাবর মারব। কারণ, চাপের মুহূর্তে ৯৯ শতাংশ সময় গোলকিপার আগেই যেকোনো একদিকে ঝাঁপ দেন। কিন্তু সে (লুনিন) সেটা করেনি, তাকে প্রাপ্যটা দিতেই হবে, ভালো খেলেছে।’

টাইব্রেকার মিস করলেও সিলভা জানিয়েছেন, সিটিতে এসব নিয়ে কোনো চাপ নেই, ‘আমরা পরিবারের মতো। ভাইয়ে ভাইয়ে সম্পর্ক যেমন হয়। কেউ মিস করলে সবাই যেভাবে একে অপরকে সমর্থন দেয়, সেটা অবিশ্বাস্য। আর এই সপ্তাহে ওরা (সতীর্থরা) আমার সঙ্গে এটাই করেছে।’

রিয়ালের বিপক্ষে টাইব্রেকার মিস করলেও এফএ কাপ সেমিফাইনালে চেলসির বিপক্ষে সিলভাকে একাদশেই খেলান সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। স্প্যানিশ কোচের এ আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন পর্তুগিজ তারকা। ৮৪ মিনিটে তাঁর গোলে তুলে নেওয়া জয়েই ফাইনালে ওঠে সিটি।

আরও পড়ুন