সবচেয়ে বেশি চোট প্রিমিয়ার লিগে, সবচেয়ে বেশি ভুগেছে পিএসজি

চোটের কারণে সবচেয়ে বেশি ভুগেছে ফরাসি ক্লাব পিএসজিছবি: রয়টার্স।

বছর বছর আন্তর্জাতিক ফুটবলারদের ব্যস্ততা বাড়ছে, তাল মিলিয়ে বাড়ছে চোটের প্রবণতাও। এতে ক্লাবগুলো শুধু মাঠের খেলাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, বাড়ছে খরচের বোঝাও। গত জুনে শেষ হওয়া ২০২১-২২ মৌসুমে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে চোটের পরিমাণ বেড়েছে আগের বছরের চেয়ে ২০ শতাংশ। চোটের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগে, আর ক্লাব হিসেবে সবচেয়ে বেশি ভুগেছে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)।

যুক্তরাজ্যে নিবন্ধিত বিমা ব্রোকার সংস্থা হাউডেনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।গত মৌসুমের হিসাব বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২১-২২ মৌসুমে চোটের পেছনে প্রায় ৫৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে ক্লাবগুলো। সবচেয়ে বেশি প্রায় ৩৮ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হয়েছে পিএসজির। এ হিসাব করা হয়েছে একজন খেলোয়াড়ের পেছনে দলগুলোর দিনপ্রতি খরচ ও চোটের কারণে না খেলার দিন বিবেচনায় নিয়ে।

লিগ হিসেবে সবচেয়ে বেশি চোটের ঘটনা ঘটেছে প্রিমিয়ার লিগে। এক বছরের মধ্যে ১ হাজার ২৩১ বার চোটে পড়েছেন অংশগ্রহণকারী ২০ ক্লাবের ফুটবলাররা। এ জন্য চোটের পেছনে সবচেয়ে বেশি খরচও হয়েছে প্রিমিয়ার লিগের, যে অঙ্কটা প্রায় ২০১ মিলিয়ন ডলার। এর আগের বছরে প্রিমিয়ার লিগে চোটের সংখ্যা ছিল ৯৩৮।

চোটের কারণে ১১৮ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হয়েছে লা লিগাকে
ছবি: রয়টার্স
আরও পড়ুন

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০৫টি চোটের ঘটনা দেখেছে বুন্দেসলিগা। অবশ্য চোটের সংখ্যা বুন্দেসলিগার চেয়ে কম (৮৪৮টি) হলেও প্রিমিয়ার লিগের পরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১৮ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হয়েছে স্পেনের লা লিগাকে।

মাত্রা অনুযায়ী চোটের ভোগান্তিরও তারতম্য আছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ১১৪ দিন ভুগেছে স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৭ দিন করে ভুগেছে জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখ ও ইংল্যান্ডের চেলসি ফুটবল ক্লাব।

আরও পড়ুন

খেলোয়াড়দের বেশি বেশি চোটে পড়া কমাতে ফিফা, উয়েফা ও লিগগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ফুটবলারদের বৈশ্বিক সংগঠন ফিফপ্রো। খেলোয়াড়দের চাপ কমাতে ফুটবল–কাঠামো ঠিক করতে বলেছে তারা। এ ক্ষেত্রে ম্যাচে বদলি খেলোয়াড়ের সংখ্যা বাড়ানো, নির্দিষ্ট সংখ্যক ম্যাচের পর বিরতি দেওয়াসহ বিভিন্ন প্রস্তাবের কথা বিবেচনা করছে ক্লাবগুলো। তবে প্রতিনিয়ত যে হারে খেলার পরিমাণ বাড়ছে, সামনের দিনগুলোয় চাপ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

নভেম্বরে কাতারে হবে ফিফা বিশ্বকাপ। এ জন্য ছয় সপ্তাহের বিরতি থাকবে ক্লাব ফুটবলে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফুটবল মৌসুম শেষ করতে বিশ্বকাপের পরপর খেলার চাপ নিশ্চিতভাবেই বাড়বে। এ ছাড়া ২০২৪ ইউরোতে ম্যাচের সংখ্যাবৃদ্ধি, ২০২৬ বিশ্বকাপে দলবৃদ্ধিও খেলোয়াড়দের ব্যস্ততা আরও বাড়িয়ে তুলবে।