ট্রাম্পের চোখে সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখতে নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে টুর্নামেন্টটির সম্প্রচারক ডিএজেডএনকে ছোট্ট একটি সাক্ষাৎকার দেন ট্রাম্প। সেই সাক্ষাৎকারে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে নিজের পছন্দের খেলোয়াড়ের নাম জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট।
গতকাল রাতে ফাইনাল দিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের গ্যালারিতে প্রথম উপস্থিত হন ট্রাম্প। তাঁর সঙ্গে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প ও ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ফাইনালে পিএসজিকে ৩–০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় চেলসি।
ডিএজেডএনের সঞ্চালক ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, আপনার চোখে সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে? ট্রাম্প বলেন, ‘অনেক বছর আগে যখন আমার বয়স খুব অল্প, তখন একজন খেলোয়াড়কে আনা (যুক্তরাষ্ট্রে) হয়েছিল, যার নাম পেলে। তিনি কসমসের হয়ে খেলেছিলেন আর এই জায়গাটায় (দর্শকে) তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। সেটা ছিল এই স্টেডিয়ামের পূর্বতন সংস্করণ আর খেলোয়াড়টি ছিলেন পেলে।’
ট্রাম্প এরপর যোগ করেন, ‘দিন–তারিখ বলতে চাই না, তবে এটা অনেক বছর আগের কথা। তখন খুব ছোটবেলায় পেলের খেলা দেখতে এসেছিলাম এবং তিনি ছিলেন অসাধারণ। তাই সম্ভবত পুরোনো মানুষদের মতোই বলতে চাই, সেটা অনেকটাই (বেসবলে সর্বকালের সেরা) বেব রুথের মতো যে পেলেই সেরা।’
ব্রাজিলের হয়ে তিনবার বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি পেলে ১৯৭৪ সালে সান্তোসের হয়ে ব্রাজিলিয়ান লিগে নিজের শেষ মৌসুম খেলেন। তখন অবসর প্রায় নিয়েই ফেলেছিলেন, সান্তোসের হয়ে মাঝেমধ্যে অফিশিয়াল ম্যাচে খেলতেন। এক বছর এই আধা অবসর ভেঙে ১৯৭৫ সালে তিন বছরের জন্য ৭০ লাখ ডলারের চুক্তিতে উত্তর আমেরিকা সকার লিগের (এনএএসএল) দল নিউইয়র্ক কসমসে যোগ দেন পেলে।
৩৫ বছর বয়সী পেলে তত দিনে সেরা সময় পেছনে ফেলে এলেও যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবলের জনপ্রিয়তা বাড়াতে তাঁকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেখানে। পরে তাঁর সঙ্গে কসমসে জার্মান কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার ও ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি কার্লোস আলবার্তোও যোগ দেন কসমসে। পরে পেলের দেখানো পথ ধরে ইয়োহান ক্রুইফ, জর্জ বেস্ট, ইউসেবিও, ববি মুর ও গর্ডন ব্যাঙ্কসের মতো কিংবদন্তিরাও যোগ দিয়েছিলেন এনএএসএলে।
কসমসে তিন বছর (১৯৭৫–১৯৭৭) খেলে ১০৭ ম্যাচে ৬৬ গোল করেছিলেন পেলে। ১৯৭৭ সালে জিতেছিলেন এনএএসএল ট্রফি। সে বছরই পেলে কসমস ছাড়ার পর এনএএসএলের প্রতি আমেরিকানদের আগ্রহও ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। স্পনসর ও দর্শক হারাতে শুরু করে প্রতিযোগিতাটি। এই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৫ সালে কসমসকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।