২৯ দিনে ৯ ম্যাচ: বড়দিনের আগে বার্সেলোনার ‘রোলারকোস্টার’ রাইড

বড়দিনের আগে বার্সেলোনার সামনে ঠাসা সূচিবার্সেলোনা

আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতি শেষ। ইউরোপের ক্লাবগুলো আবারও অনুশীলনে ফিরেছে। অনুশীলনে ফিরেছে বার্সেলোনাও। আর ফেরাটা হয়েছে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই। বিরতি পড়ার ঠিক আগেই সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে লিগ ম্যাচে জয় পেয়েছিল হান্সি ফ্লিকের দল। সেই জয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান কমে দাঁড়িয়েছে তিনে।

কিন্তু অনুশীলনে ফিরেই সেই স্বস্তি উধাও হওয়ার জোগাড়! বড়দিন বা ক্রিসমাসের আগে বার্সেলোনার সামনে এক কঠিন ‘সূচি-জট’। লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগ আর কোপা দেল রে—তিন প্রতিযোগিতা মিলিয়ে আগামী ২৯ দিনে খেলতে হবে ৯টি ম্যাচ! সূচি এতটাই ঠাসা যেন দম ফেলারও ফুরসত নেই।

আরও পড়ুন

তবে এই কঠিন সমীকরণের শুরুটাই হচ্ছে দারুণ এক আবেগঘন মুহূর্ত দিয়ে। দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় পর নিজেদের প্রিয় আঙিনা, ক্যাম্প ন্যুতে ফিরছে বার্সা। ঘরে ফেরার আনন্দে কিছুটা সীমাবদ্ধতাও থাকছে। আগামী শনিবার অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে এই প্রত্যাবর্তন ম্যাচে মাত্র ৪৫ হাজার দর্শক গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার সুযোগ পাবেন।

দুই বছরের বেশি সময় পর ক্যাম্প ন্যুতে ফিরছে বার্সা
বার্সেলোনা

বিলবাওকে আতিথ্য দেওয়ার পরই আবার স্যুটকেস গোছাতে হবে ইয়ামাল-লেভানডফস্কিদের। গন্তব্য লন্ডন। চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের পঞ্চম ম্যাচে চেলসির মুখোমুখি হবে তারা। পয়েন্ট টেবিলে দুই দলেরই অবস্থা অনেকটা একই রকম—৪টা করে ম্যাচ শেষে ৭ পয়েন্ট, তবে অবস্থান যথাক্রমে ১১ ও ১২ নম্বরে। লন্ডন সফর শেষে বার্সা আবারও ফিরবে ঘরের মাঠে, প্রতিপক্ষ আলাভেস। পরিসংখ্যান বলছে, এই ২৯ দিনের ম্যারাথনে কাগজে-কলমে এটিই সবচেয়ে সহজ ম্যাচ। কারণ, ২০১৬ সালের পর আলাভেস বার্সেলোনার মাঠে আর জয়ের দেখা পায়নি।

কিন্তু তাই বলে বার্সেলোনার গা–ছাড়া হয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ফ্লিকের দলকে মুখোমুখি হতে হবে লা লিগার তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে থাকা দলগুলোর। ২ ডিসেম্বর আতলেতিকো মাদ্রিদ, ৬ ডিসেম্বর রিয়াল বেতিস এবং ২১ ডিসেম্বর ভিয়ারিয়াল। এর মাঝেই আছে আরও দুটি ম্যাচ—৯ ডিসেম্বর চ্যাম্পিয়নস লিগে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং ১৪ ডিসেম্বর লিগে ওসাসুনা।

আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতি শেষে গতকাল অনুশীলনে বার্সেলোনার ফুটবলাররা
বার্সেলোনা

এরই মধ্যে আবার স্প্যানিশ কাপ বা কোপা দেল রের শিরোপা ধরে রাখার মিশনও শুরু হবে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে। প্রতিপক্ষ কে হবে, তা মাসের শুরুতেই ড্রয়ের মাধ্যমে জানা যাবে।
এত সব চাপের মাঝেও ফ্লিকের জন্য কিছুটা স্বস্তির বাতাস হয়ে আসছে কিছু সুখবর। রাফিনিয়া ও হোয়ান গার্সিয়ার মতো তারকারা চোট কাটিয়ে ফিরছেন, ওদিকে জুলস কুন্দে আর আলেহান্দ্রো বালদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়াও ঠিকঠাক এগোচ্ছে।
সব মিলিয়ে বছর শেষের এই মাসটা বার্সার জন্য হতে পারে স্বপ্নের কিংবা দুঃস্বপ্নের। তবে হান্সি ফ্লিকের ‘হাই-লাইন ডিফেন্স’ আর প্রেসিং ফুটবলের আসল পরীক্ষাটা যে এই ২৯ দিনেই হবে, তা এখনই বলে দেওয়া যায়।

গ্রাফিকস
এআই দিয়ে বানানো
আরও পড়ুন