কাতার বিশ্বকাপেরই যেন মন খারাপ! লিওনেল মেসিদেরও তো তাঁকে মনে পড়ার কথা।
সর্বশেষ রাশিয়া বিশ্বকাপের কথা মনে আছে? নাইজেরিয়ার বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আর্জেন্টিনার গোলের পর গ্যালারিতে কী বুনো উল্লাসটাই না করেছিলেন! এই বিশ্বকাপেও কি এমন কিছুই করতেন? এই প্রশ্নের উত্তর আর জানা যাবে না।
তবে এবার অমন উল্লাস করতে চাইলে ম্যারাডোনা সেই সুযোগটা বেশি পেতেন, সেটা নিঃসন্দেহে বলাই যায়। টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপে এসেছে আর্জেন্টিনা। বিশ্লেষকেরা যে কয়টি দলকে ফেবারিটের তালিকায় রাখছেন আর্জেন্টিনা তার মধ্যে একটি।
মেসির শেষের শুরু আজ
না ফেরার দেশে চলে যাওয়ায় মেসির গোলে ’৮৬ বিশ্বকাপ কিংবদন্তিকে আর বুনো উল্লাস করতে দেখা যাবে না। তবে ম্যারাডোনা যেখানেই থাকুক না কেন, তিনি তো আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গেই থাকবেন।
আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি ঠিক এটাই বিশ্বাস করেন। ফিফাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছেন ম্যারাডোনা তাঁদের সঙ্গেই আছেন, ‘গ্যালারিতে তাঁকে না দেখাটা হবে অদ্ভুত অনুভূতি। তাঁকে দেখে দর্শকদের উন্মাদনাও দেখা যাবে না। আসলে ম্যারাডোনার না থাকায় অনেকটাই অন্যরকম লাগবে। তবে আর্জেন্টিনাকে তিনি ভালোবাসতেন। সব সময়ই দলের পাশে থেকেছেন। যেখানেই থাকুক না কেন, তিনি দলের সঙ্গেই থাকবেন।’
বিশ্বকাপের আগে মেসি বারবার এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। কাতারেই ম্যারাডোনা ও বিশ্বের কোটি কোটি আর্জেন্টাইন সমর্থকদের স্বপ্ন পূরণ সম্ভব কি না, এমন প্রশ্নে মেসি আবারও সরাসরি কিছুই বলেননি। তবে দলকে যে খুব ভালো অবস্থানে আছে জানিয়েছেন সে কথা, ‘ব্যক্তিগতভাবে ও দল হিসেবে আমরা খুব ভালো অবস্থানে আছি। অনেক ম্যাচে ভালো করার অনুভূতি নিয়ে বিশ্বকাপে এসেছি, যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দল একই কৌশল, একই দর্শনে খেলে আসছে অনেক দিন ধরে। আমরা সামনের ম্যাচগুলোতে সেভাবেই খেলার চেষ্টা করব। বিশ্বকাপ কঠিন টুর্নামেন্ট। আপনাকে ধাপে ধাপে, ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে হবে।’
আর্জেন্টিনার এই ছন্দ খুঁজে পাওয়ার কৃতিত্ব মেসি পুরোটাই দিয়েছেন কোচ লিওনেল স্কালোনিকে, ‘শুরু থেকেই সে পুরো দলকে শক্তিশালী ও একতাবদ্ধ করায় নজর দিয়েছে। দল হিসেবে আর্জেন্টিনার এই পারফরম্যান্সের পেছনে তার অবদান সবচেয়ে বেশি। ম্যাচের পর ম্যাচ সে দেখিয়েছে সে কতটা ভালো কোচ। এত দিন ধরে আমরা হারি না, এটা পুরোটাই তাঁর কৃতিত্ব।’