র‌্যাঙ্কিংয়ে ৭ ধাপ এগিয়েছে সাবিনারা

ছাদখোলা বাসে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি উঁচিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুনছবি: প্রথম আলো

কাঠমান্ডুতে মেয়েদের সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে বাংলাদেশ হারিয়েছিল শক্তিশালী ভারতকে। এরপর ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে জিতেছে শিরোপা। আর সেই পারফরম্যান্সের প্রভাব এবার দেখা গেল ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে। গতকাল প্রকাশিত ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে একলাফে ৭ ধাপ এগিয়েছেন সাবিনা খাতুনরা।

সাফের আগে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৪৭ নম্বরে ছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। ৭ ধাপ এগিয়ে এখন তারা আছে র‌্যাঙ্কিং ১৪০ নম্বরে। বাংলাদেশের অর্জিত পয়েন্টেও উন্নতি হয়েছে। টুর্নামেন্টের আগে বাংলাদেশের পয়েন্ট ছিল ১০১৭.১৬, আর এখন ১০৫৪.৫৫।
ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল ভারত।

বাংলাদেশ ও নেপালের কাছে সাফে হারের পর ভারত তিন ধাপ পিছিয়ে এখন আছে ৬১তম স্থানে। বাংলাদেশের কাছে ফাইনালে হারা নেপাল এক ধাপ পিছিয়ে ১০৩ নম্বরে আছে।

আরও পড়ুন

বর্তমান র‌্যাঙ্কিংয়ে শ্রীলঙ্কার অবস্থান ১৫৫, মালদ্বীপ ১৫৯, পাকিস্তান ১৬০ ও ভুটানের অবস্থান ১৭৭। দক্ষিণ এশিয়ার সেরার লড়াইয়ে মালদ্বীপের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেন সাবিনা-কৃষ্ণারা। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ভারতকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ খেলে সেমিফাইনালে। সেমিফাইনালে ভুটানকে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করার পর ফাইনালে নেপালকে হারায় ৩-১ গোলে।

দলীয় অধিনায়ক সাবিনা খাতুন
ফাইল ছবি

মেয়েদের র‌্যাঙ্কিংয়ে বরাবরের মতোই শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। জার্মানিকে তিনে নামিয়ে দুইয়ে উঠে এসেছে সুইডেন। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে এমন উন্নতিতে উচ্ছ্বসিত বাফুফের মহিলা কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার, ‘এটা অবশ্যই আমাদের জন্য একটা ভালো খবর। করোনার কারণে আমরা অনেক দিন খেলতে পারিনি। এ কারণে র‌্যাঙ্কিংয়ের বাইরে চলে গিয়েছিলাম। তবে এখন লক্ষ্যই থাকবে সামনের ফিফা উইন্ডোতে প্রীতি ম্যাচ খেলার।’

প্রথমবারের মতো সাফ জয়ের আনন্দ মেয়েদের
ছবি: বাফুফে

দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশের সঙ্গে আপাতত প্রীতি ম্যাচ খেলার ইচ্ছা নেই বাংলাদেশ নারী দলের। আসিয়ান অঞ্চলেই চোখ রাখছেন ফিফার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মাহফুজা, ‘আমরা চাই, মেয়েরা যেন আরও উন্নত কোনো দেশের সঙ্গে খেলে, যাতে ওরা নিজেদের ভুলত্রুটি বুঝতে পারে। আসিয়ান বা ইস্ট আসিয়ান অঞ্চলের কোনো দেশের সঙ্গে খেলতে চাই আমরা। অথবা জর্ডান-জাপানের মতো দেশগুলোর সঙ্গে খেলব, যাতে আমাদের মেয়েরা পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে।’

আরও পড়ুন