‘বায়ার্নে কিছুটা যন্ত্র ছিলাম, বার্সেলোনায় আসার পর মানবীয় হয়েছি’

বার্সেলোনা তারকা রবার্ট লেভানডফস্কিছবি: টুইটার

কথা বলতে পছন্দ করেন রবার্ট লেভানডফস্কি। মাইক্রোফোন হাতে পেলে তিনি সব সময়ই এমন কিছু কথা বলেন, যার মাধ্যমে আলোচনায় থাকেন বার্সেলোনার পোলিশ স্ট্রাইকার। চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে ৪ ম্যাচ খেলে ২ গোল করা লেভা কয়েক দিন আগে আলোচনায় এসেছেন কোচ জাভির খেলার ধরন নিয়ে সমালোচনা করে।

হেতাফের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে এবারের লা লিগা অভিযান শুরু করে বার্সেলোনা। তবে পরের তিনটি ম্যাচে জিতেছে জাভির দল। এ তিনটি জয় নিয়ে লেভানডফস্কি বলেছিলেন, ‘আমরা বার্সেলোনা। আমরা শুধু জিততে চাই না, আমরা জিততে চাই আক্রমণাত্মক খেলে। সম্প্রতি সেটা হয়নি। তাই আমরা ম্যাচে আরও বেশি সুযোগ তৈরি করতে চাই।’

লেভা এরপর যোগ করেন, ‘কখনো কখনো আমরা যথেষ্ট আক্রমণাত্মক খেলোয়াড় নিয়ে খেলি না। আমি যথেষ্ট সমর্থন পাচ্ছি না। তাই দলের জন্য সেরা সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছি।’

আরও পড়ুন
বার্সেলোনায় বেশ সুখে আছেন বলে জানিয়েছেন লেভানডফস্কি
ছবি: টুইটার

আরও একবার মাইক্রোফোন পেয়েছেন লেভা। এবার তিনি কথা বলেছেন বায়ার্ন মিউনিখ আর বার্সেলোনায় তাঁর নিজের অবস্থা নিয়ে। ২০১৪ থেকে ২০২২—বায়ার্নে এই ৮ মৌসুম কাটানো লেভা বার্সেলোনায় নাম লিখিয়েছেন ২০২২ সালে।

বায়ার্নে তাঁকে সবাই ডাকত ‘গোলমেশিন’ বলে। জার্মানির ক্লাবটির হয়ে ৮ মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৭৫ ম্যাচ খেলে তিনি করেছেন ৩৪৪ গোল। ভেঙেছেন এক মৌসুমে বুন্দেসলিগায় গার্ড মুলারের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড।

বায়ার্ন আর বার্সেলোনায় নিজের দুই রকমের জীবন নিয়ে লেভা বলেছেন, ‘বায়ার্নে কিছুটা যন্ত্র ছিলাম আমি। বার্সেলোনায় এসে অনেকটাই মানবীয় হয়েছি।’

আরও পড়ুন
অনুশীলনে রবার্ট লেভানডফস্কি
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

ইউরোপের অনেক প্রতিভাই এখন বিশাল অঙ্কের অর্থের হাতছানিতে সাড়া দিয়ে সৌদি আরবের ফুটবলে যাচ্ছেন। লিওনেল মেসি, সের্হিও বুসকেতস, জর্দি আলবারা আবার গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে। সৌদি আরবের ফুটবলে যাওয়ার কথা কি কখনো ভেবেছেন লেভা?

এই প্রশ্নের উত্তরে পোলিশ স্ট্রাইকার বলেছেন, ‘আমি এমনকি এটার (সৌদি আরব) কথা ভাবিওনি। বার্সেলোনায় আমি মহা আনন্দে আছি। দলে আর শহরটিতে আমি পরিবার নিয়ে খুব সুখে আছি।’

তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকার কি টানে লেভাকে? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারির আগে এমএলএসে যাওয়ার ভাবনা আমার মনে ছিল; কিন্তু কোনো না কোনোভাবে আমি মন পরিবর্তন করেছি। আর বার্সেলোনা–অধ্যায়ের পর এটা ভাবাও কঠিন।’

আরও পড়ুন