আবারও বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। আজ বৃহস্পতিবার রুয়ান্ডার কিগালিতে ফিফার ৭৩তম কংগ্রেসে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন ৫২ বছর বয়সী এই সুইস আইনজীবী।

২০১৬ সালে সেপ ব্লাটারকে দুর্নীতির অভিযোগে সরিয়ে দেওয়া হলে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন ইনফান্তিনো। ওই সময় তিনি ইউরোপীয় ফুটবল কর্তৃপক্ষ উয়েফার সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন। এরপর ২০১৯ সালের জুনে আবার ফিফার সভাপতি নির্বাচিত হন।

এ নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ফিফা প্রধানের দায়িত্ব পেলেন ইতালি ও সুইজারল্যান্ডের দ্বৈত নাগরিকত্বধারী ইনফান্তিনো। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আরও একবার তাঁর সভাপতি হওয়াটা নিশ্চিতই ছিল। আজ শুধু আনুষ্ঠানিকতাটুকু সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৭ পর্যন্ত এই দায়িত্বে থাকবেন তিনি।

নতুন করে দায়িত্ব পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘আমি সবাইকে ভালোবাসি। যারা আমাকে ভালোবাসে, আমি জানি এ সংখ্যা অনেক বেশি। আর যারা আমাকে ঘৃণা করে, তাদেরও। যদিও আমি জানি যে এ সংখ্যা অনেক কম।’

সম্প্রতি একজন সভাপতির জন্য চার বছর করে তিন মেয়াদে দায়িত্বে থাকার সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে ফিফা। কিন্তু নিয়ম আরোপের পরও ইনফান্তিনো ২০৩১ সাল পর্যন্ত থাকার সুযোগ তৈরি করে নিয়েছেন। গত ডিসেম্বরে তিনি ঘোষণা দিয়ে জানান, তাঁর প্রথম তিন বছর পূর্ণ মেয়াদ হিসেবে গণণা করা হয়নি।

নিজের সময়ে ইনফান্তিনোর সবচেয়ে বড় সাফল্য সমালোচনার মধ্যেও কাতারে ঠিকঠাকভাবে বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন সম্পন্ন করা। ইউরোপের অনেক দেশ ও মানবাধিকার সংস্থা অভিবাসী শ্রমিকদের ওপর কাতার সরকারের নির্মমতার অভিযোগ এনে বিশ্বকাপ আয়োজনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু শুরু থেকেই কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করেন ইনফান্তিনো। শেষ পর্যন্ত সফলভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনও সম্পন্ন করে ফিফা।

টানা তৃতীয়বার সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরও অবশ্য থেমে নেই ইনফান্তিনোর সমালোচনা। নরওয়েজিয়ান ফুটবল ফেডারেশনর সভাপতি লিসে ক্লাভেনেস বলেছেন, তিনি ইফান্তিনোকে সমর্থন করেন না। এ ছাড়া জার্মানিসহ কয়েকটি দেশ তাঁর সভাপতি হওয়ার বিপক্ষে ছিল। তবে সব ভুলে এখন সামনে তাকানোর কথা বলেছেন ইনফান্তিনো। যেখানে তাঁর প্রধান লক্ষ্য ২০২৬ সালে উত্তর আমেরিকায় প্রথমবারের মতো ৪৮টি দেশের বিশ্বকাপ আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করা।