বার্সেলোনার ইতিহাসে সবচেয়ে ভালোবাসার খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়ে যা বললেন মেসি
বার্সেলোনার ইতিহাসে সবচেয়ে ভালোবাসা পাওয়া ফুটবলার কে? বেশির ভাগ বার্সেলোনা সমর্থকের পক্ষপাত যে লিওনেল মেসির দিকে হবে, সেটা বোধ হয় আগেই বলে দেওয়া যায়। এবার জরিপেও উঠে এল একই তথ্য।
স্প্যানিশ দৈনিক স্পোর্তের এক জরিপে বার্সেলোনার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা পাওয়া খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন মেসি। পুরস্কারটি স্পোর্তের ভ্যালোরেস দেল দেপোর্তে গালা অনুষ্ঠানের অংশ ছিল।
এই জরিপে মেসি পেছনে ফেলেছেন জাভি হার্নান্দেজ, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, রোনালদিনিও এবং ইয়োহান ক্রুইফের মতো কিংবদন্তিদের। পুরস্কারটি পেয়ে মেসি বলেন, ‘আপাতত এখানে (ইন্টার মায়ামি) আরও কয়েক বছর থাকব। তবে আমরা বার্সেলোনায় ফিরবই, কারণ আমি সব সময় বলেছি, ওটাই আমার সত্যিকারের ঘর।’
কাতালান মিডিয়া সংস্থা স্পোর্তের পরিচালক জোয়ান ভেহিলস মায়ামিতে গিয়ে মেসির হাতে উপহারটি তুলে দেন। পুরস্কার পেয়ে উচ্ছ্বসিত ইন্টার মায়ামি তারকা মেসি আরও বলেছেন, ‘আমি ক্যাম্প ন্যুতে অন্য আরেকজন সাধারণ সমর্থক হিসেবেই উপস্থিত থাকব, দলের খেলা অনুসরণ করব এবং ক্লাবকে সমর্থন দেব।’
বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকা ২০০৪–২০২১ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনা মূল দলের হয়ে ৮৩৭ ম্যাচে ৭০৯ গোল করেছেন এবং ৩৫টি শিরোপা জেতেন। তাঁর হাত ধরেই বার্সা বিশ্বের সেরা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে।
বার্সার সবচেয়ে ভালোবাসার ফুটবলারের স্বীকৃতি পেয়ে উচ্ছ্বসিত মেসি ফেলে আসা সময়ের স্মৃতিচারণাও করেন, ‘আমরা একসঙ্গে অনেক কিছুর ভেতর দিয়ে গেছি, ভালো ও খারাপ উভয় দিকেই। কারণ, এত বছরের সম্পর্ক সব সময় মধুর হয় না, কঠিন সময়ও আসে। এটা আমার ঘর, আমার জায়গা, আমার মানুষ। আমি চেয়েছিলাম অন্য কোনো ক্লাবে না গিয়ে আমার পুরো ক্যারিয়ারটিই সেখানে কাটাতে। দুঃখজনকভাবে, বিষয়গুলো অন্য রকমভাবে ঘটেছিল।’
তবু বার্সেলোনার স্মৃতি নিজের মধ্যে লালন করবেন জানিয়ে মেসি বলেছেন, ‘তবে আমরা যেসব মুহূর্ত একসঙ্গে কাটিয়েছি সেসব স্মৃতি আমি সব সময় আদরের সঙ্গে নিজের মধ্যে লালন করব। মহামারির কারণে আমাকে ভক্তদের ছাড়াই ক্লাবটি থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল, সেটি একটি অস্বাভাবিক বছর ছিল। বার্সেলোনার সবার প্রতি আমার বিশেষ ভালোবাসা রয়েছে।’