আর্জেন্টিনা কোচ স্কালোনির সবচেয়ে দুঃখের দিন আসবে সামনে
ব্যক্তিগত জীবনে সবারই দুঃখ–কষ্ট আছে। লিওনেল স্কালোনিরও আছে। স্মরণ করলে হয়তো সবচেয়ে দুঃখের দিনও বলে ফেলতে পারবেন। কিন্তু আর্জেন্টিনা কোচ হিসেবে লিওনেল স্কালোনির সবচেয়ে দুঃখের দিন কোনটি?
২০২২ বিশ্বকাপে সৌদি আরবের কাছে হার? কিন্তু সর্বশেষ সেই বিশ্বকাপে তো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। কষ্ট পেলেও তাই মিলিয়ে যাওয়ার কথা। কিংবা সবচেয়ে দুঃখের দিনের তালিকায় সেটা উঠে আসে না। ২০১৯ কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হার? কিন্তু পরের দুটি কোপায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সেই দুঃখও স্কালোনির থাকার কথা নয়। আসলে স্কালোনির কোচিং ক্যারিয়ার ও জীবন মিলিয়ে সেই দিন এখনো আসেনি। আর্জেন্টিনা কোচের কথায়ই বিষয়টি পরিষ্কার।
দক্ষিণ আমেরিকার খেলাধুলাভিত্তিক সাবস্ক্রিপশন টিভি চ্যানেল ডিস্পোর্টসের সঙ্গে গতকাল কথা বলেন স্কালোনি। সেখানে আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে নিজের মেয়াদ প্রসঙ্গে সবচেয়ে দুঃখের দিনের কথা টানেন ৪৬ বছর বয়সী স্কালোনি। ২০২৩ সালে ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ চুক্তি নবায়ন করেন। সে অনুযায়ী ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত তাঁর মেয়াদ আছে। কিন্তু তারপর? স্কালোনি যেদিন আর্জেন্টিনা কোচের পদ ছেড়ে যাবেন, সেদিন তাঁর কেমন লাগবে?
শুনুন স্কালোনির মুখেই, ‘কত দিন টিকব, তা এখনই বলা কঠিন। তবে একটি সময় তো ছাড়তেই হবে। যেদিন এটা ঘটবে, সেই দিনটা হবে আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন। এখন ভালোই আছি। স্বপ্নের মতো জায়গা। এই মুহূর্তে ওটা (প্রস্থান) নিয়ে ভাবছি না।’
২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আর্জেন্টিনা। ১২ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট স্কালোনির দলের। মার্চে আবারও শুরু হবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব। সে মাসে দুটি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। উরুগুয়ে এবং ব্রাজিলের মুখোমুখি হবেন লিওনেল মেসিরা।
স্কালোনি জানিয়েছেন, বাছাইপর্বে ভালো অবস্থানে থাকায় অপেক্ষাকৃত তরুণ খেলোয়াড়দেরও তিনি সুযোগ করে দিতে চান। এই সিদ্ধান্তটি যে ২০২৬ বিশ্বকাপ মাথায় রেখে তা বলাই বাহুল্য। স্কালোনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবলে, যেসব তরুণ এখনো সুযোগ পায়নি, তাদের সুযোগ দেওয়ার সময়টা এখনই। আমরা এটা নিয়ে ভাবছি। বিশ্লেষণ করছি।’